দাও শুধু হাততালি
///////////////////////


মুহূর্মুহুর হাততালি পড়ছে
জনস্রোতে উপচে পড়ছে সভাগৃহ।
আত্মাতুষ্টির শিহরণে সবাই আপ্লুত
নির্বিশেষে সবাই যেন  ছিল কক্ষচ্যুত।
নেতার ভাষণে,আদরের সম্ভাসনে সবাই উদজ্জীবিত।
পেয়েছে নতুন করে প্রাণের ভাষা।
কুলি মজুর,হাঁড়ি মেথর
প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক চাষা।
হার ঝিরঝিরে বুকের পাঁজরে
স্বপ্নের স্রোতে ভুলে গেল
দিন কাটে তাদের অনাহারে।


ভুরিভুরি বাক্য বানে
মিথ্যার আস্বাশনে,গাল ভরা প্রতিশ্রুতি উদ্গীরণ।
চেটেপুটে লুটে শেষ রক্তবিন্দু শুষে,
বংশ পরম্পরায়ে তোমাদের রিক্ত করে যাবে আমরণ।


নেতা বলে ধান গাছে তক্তা হয়
কড়ি বর্গা হয় দূর্বা ঘাসে
হাঁ করে সবাই সবই শুনে আর ভাবে
দারুন উন্নয়ন চলছে
নেতা বোধহয় কোনো উন্নত প্রযুক্তির কথা বলছে!!
বাঃ বাঃ বলে হাততালি দেয় বাহু তুলে
এটাই তো চাই
যাদু আছে তোমার ভাষণে
সব কিছু যাই ভুলে।


আবারও মুখরিত জনস্রোত,
শিহরিত আনন্দিত সবাই
মুহূর্মুহুর হাততালি দিয়ে
সার্থক করছে সভা !
খুশিতে ডগমগ কিছু তাঁবেদার
আর অনাহারে অর্ধাহারে থাকা
সজ্ঞানী ,অজ্ঞানী ওই সব বোবা।
অহঃরহঃ বয়ে চলে নানা রূপে শোষণের থাবা।
যেন সবার কাম্য ছিল এটাই।
হায় পোড়া কপাল গন্নিমান্নি নেতার হাতে ধরা আছে প্রজন্মের লাটাই??


চতুর্থ শ্রেণীর এক ছেলে
বুক চিতিয়ে মাথা উঁচু করে বলে
কি করে হয় ধান গাছে তক্তা
দুর্বাঘাসে হয় কড়ি বর্গা??
এ যে ভুল বলছে এর নূন্যতম জ্ঞান  নেই  
বৃক্ষ আর বীরুৎ গাছের মধ্যে আছে কত ফারাক।
সভাভরা জনতা বিস্ময়ে পিছন ফিরে দেখে আর বলে
দুগ্গা দুগ্গা।
এ যে অবোধ ছেলে মাফ করে দাও
এ ভাগচাষী হারাধনের পুত্র গঙ্গা।
পারিষদ এলো ধরে নিয়ে গেল
বন্ধকরে দিল তারে কাল কুঠুরির ঘরে।