দেখা
///////


কুর্লা নয় নম্বর প্লাটফর্মে
দাঁড়িয়ে মুখোমুখি দুজনে।
যে পথ চলার শুরু হয়েছিল
প্রেম আবেগ ভালোবাসা দিয়ে
সে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি
অন্তরে অন্তরে রয়ে গেছে এক ফল্গুধারা ।
ভালোবাসার মালা আজ
ধুলো ভরা সরুগলি-
চোখে চোখ রেখে থমকে দাঁড়ালাম।


কুড়ি বছর পর আবার একসাথে দেখা
বিস্ময়ে তাকিয়ে দুজন দুজনের দিকে
পাশ ফিরে যেতে চাইলাম
মন সায় দিন না, পা যেতে চাইল না,
কাছে গিয়ে শুধলাম কেমন আছো?
আজও বদলাও নি
সেই চির তরুণী রয়ে গেছো।
চিরাচরিত স্বভাবে তৃনা
মুখ নিচু করে বলল
তুমি ও তো আজও সেই রকম আছো।
একটু খুঁক খুকিয়ে হেসে বললাম
আজও প্রেম টা বেঁচে আছে তাই
ও মুখ নিচু করে বলল-বোধহয়।


পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম দুজনে
কিছুটা সময়ের জন্য দুজনের গতি আজ একমুখী
এবারেও মুখ নিচু করে বলল বোধহয়।
চুপ রইলাম ক্ষণকাল দুজনে-
তৃনা-
মুখ তুলে বলল
তুমি কফি খাবে?
কি অবাক হলে
আজও মনে রেখেছি।
আরো অনেক কিছু মনে আছে
তার সাথে মনে আছে অন্তহীন বেদনা।
বাক্য রহিত হয়ে তাকিয়ে রইলাম।


একটা গভীর দীর্ঘশ্বাসের সাথে
জানতে চাইলো
তোমার ট্রেন কত নম্বর পাটফর্মে।
বললাম এগারো আর তোমার ?
কানে আসে ট্রেন ছাড়ার এনাউন্সমেন্ট।
ও বলল তোমাকে দুটো প্লাটফর্ম পেরিয়ে যেতে হবে।
এখনও বাজার থেকে খাবার কিনে খাও?
কম খে ও।
কিছু কথা জানার আর জানবার ছিল-
সম্মতি জানবার আগে ট্রেনটা এগিয়ে গেল।

ত্রিনয়নি -
নামটা ভালোবেসে তৃনা করেছিলাম
মনে মনে বললাম
কখনও তোমার ত্রিনয়ন দিয়ে দেখো
আমার মনেও জমে আছে অনেক ব্যাথা
অনেক না বলা কথা।


আজও পিছিয়ে রইলাম
সেই কুড়ি বছর আগে যেমন করে
পিছিয়ে পড়েছিলাম।
দেখা টা একটা কাব্য হয়ে রইল।


।।।।।।।।।।।
কুর্লা- একটা ভীষণ ব্যস্ত স্টেশন।