দুঃখীর মা
########


আসদ পাতাটি নড়ে
বুড়ো ছাগল টি চরে,
দুঃখীর মা রে দুঃখীর মা
কোথা গেলি রে দুঃখীর মা
আজ এই ডাক কুঞ্জে কুঞ্জে
শহরে গঞ্জে
কর্ণ কুহরে উঠিল গুঞ্জে ।
বৈরাগীর ললাট তিলক
বাউলের একতারার গান,
যে সত্যের করেছিল রচনা
কালের স্রোতে,
মুহ্যমান,বেমানান ।
পঙ্কিল পঙ্কাগারে
সর্পিল বিষাগারে
ধরণী আবৃত মায়াজালে
ভরেছে হাহাকারে ।
প্রজন্ম -
স্বর্গ দুয়ারে দাঁড়িয়ে?
স্বঘোষিত উর্বশী উদীচী,
করিতকর্মা নর্তকী নর্তক।
ভোগ বিলাসী লালসার খেলায়,
জন্ম জন্ম ব্যভিচারী রোগে
নিমজ্জিত আপাদমস্তক ।।


নয়নের মণি প্রানের নাথ,
প্রাণ ভ্রমরা জরারোগে জেরবার,
দুঃখীর মা হারিয়ে গেছে
নেই আজ পরিত্রাণ নিস্তার।
বাসুকির বিষে,
বিসল্যকরনি আজ নীলকন্ঠ,
ধরার ধুলায় বারি ধারায়
গরল ধারা রক্তে রক্তে
ভোরে গেছে আকুণ্ঠ ।
দিবা নিশি শেষে,
প্রহরে প্রহরে
নবীনের দল জ্বলছে,
মনিবের রাতপরির অনলে ।
দলে দলে দাবানলে
আহুতির আগে যাবে রসাতলে।
মনিবের দল চমকে চমক,
সবুজের দল মতিভ্রম এখন,
ঘুমিয়ে তাদের মহীরুহ মন।


পলকে পলকে কমলে কাননে,
ব্যাধি বিধিকে -
করছে অতিক্রম,
গোচারণ শেষে  !
গোধূলিতে এসে হবে মূল্যায়ন ?
বেলা বয়ে যায়,
জননী মোর হায়।
লেগেছে হায় এর দুয়া
পুঁড়ছে তোর নয়ন মণির কপাল।
এখন তো সবে সকাল
সন্ধ্যা হতে বাকি সামলে নে,
নয়নের নিধী প্রানের গোপাল ।।
বছর কয়েক ঘুরে
কিছু বে-সুর স্বর
রোইবে শুধু পড়ে,
আসদ পাতাটি নড়ে
বুড়ো ছাগল টি চরে,
দু:খীর মা রে
দুঃখীর মা
কোথা গেলিরে দুঃখীর মা?