ঘুঙুর-বাঁশি
///////////////
অনেক ফুঁ দিলাম
সুর তো দূর কোনো শব্দ বের হলো না।
একটু বিষাদ ভরা গন্ধ
আর ধুলো বের হলো।
আমার ভুবনটা আজ তিন কোনা
এক দিকে তুমি এক দিকে আমি
আর সামনে ঘুগুর আর বাঁশি।
এ এক অদ্ভুত মারন যন্ত্রনা।


একদিন কত লোকের
কত জনতার মন ভরিয়েছে।
দিনের পর দিন রাতের পর রাত
কত জলসা ,কত আসর
জয় করেছে ।
আজ সেই বাঁশি -
শব্দ হারা সুর হার।


আজও মনে পড়ে শেষ বার
যেদিন বেজেছিলো এই মায়াবী বাঁশি
সেদিনও সবাই ছিলো সুরে মাতোয়ারা।
মুহুর মুহুর তরঙ্গায়িত হয়েছিল
জনতার উল্লাস করতালী।
সেদিন তোমার ঘুঙুরও বেজে ছিল
মন প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো।
সাথে মিশে গিয়েছিল আলোর রশ্মি
আর ক্যামেরার ঝলকানি।


সেদিনও ছিল ভরা পূর্ণিমা
চাঁদের জ্যোস্না উপচে পড়েছিল।
সাথে তোমার খিলখিলিয়ে হাসি।
দুগাল চিবুক বেয়ে ভেসে যাচ্ছিলো
রূপের বন্যা
আমার চোখের তারায় ধরা দিয়েছিলো
এক অপ্সরা কন্যা।


নিয়তি হল বিরূপ
খাদানে গিয়ে পড়ল গাড়ি
কেড়ে নিল দুই পা কেড়ে নিল রূপ।
তরপর  সব  কিছু নিরস বিবশ
চুপচাপ নিশ্চুপ।


এমনি করেই জীবন থেকে
কেটে গেছে বাইশ টা বছর
আজও তোমার সাথে
হয়নি বাঁধা আমার সাধের চালাঘর।
কেবা আপন কেবা পর
ভেবে ভেবে রইলে দূরে সরে সরে
বছরের পর বছর।


এখনোও আছে
সেই আসর -
বসে সেই জলসা,
সাথে সেই মনোহরা রাত ।
শুধু বাজে না আর বাঁশি
বাজে না আর ঘুঙুর।
এ যেন এক অদৃশ্য অভিশাপ।


শুধু রয়ে গেছে পোড়া কিছু স্মৃতি
সাথে
ঘুগুর আর পোড়া এই বাঁশি।
এরা যে আমার জন্ম জন্মান্তরের সাথী