হ্যারিকেন হাতে ভোলা
###############
অন্ধকারে বন্ধ করে
দিবানিশি মনের ঘরে
সময় কাটে বিষাদ সুরে
আকাশ পানে দুয়ার করে ।


নিত্য দিনের চক্রতালে
ধুঁকে ধুঁকে জীবন চলে
ব্যস্ত শহর হাসির হাট
রাস্তা ঘাটে জনছ্বাস।


বাসে,ট্রেনে ব্যস্ত সবাই,
কারোর কাছে সময় নাই
আমি একা বিষাদ মনে
সময় কাটে আপন মনে।


সবার কাছে ভীষণ কাজ
শহর ,গ্রাম ব্যস্ত আজ
সুয্যি কখন গেছে পাটে
আলোয় সবাই যাচ্ছে ছুটে


আমি একা বসে ঘরে
অলস সময় যাচ্ছে ঘুরে
আকাশ কুসুম চেয়ে চেয়ে
কুল কিনারা পাইনা ভেবে।?


চক্রাকরে?উপবৃত্তাকরে?সূর্য্য ঘোরে? পৃথিবী ঘোরে?
নিত্য নতুন ভাবনা করি
কেন ঘোরে খুঁজে মরি।


তত্ত্ব তলাশ দিনে রাতে
তথ্য খুঁজে সময় কাটে
দূরবীন আর আতস কাচে
কেন ঘোরাটাই চোখে আসে?


কোনটা আগে? কোনটা পরে?
কেন শুধু ঘুরে মরে?
জ্যামিতি আর খাতা কলম
হয় না আর জটিল সরল ।


ভাবতে ভাবতে প্রৌঢ় কাল
তবু ভাবি সাকাল বিকাল
একা একা জ্যোৎস্না রাতে
সবার থেকে দূরে থেকে।


আকাশ পানে তারা গুনে
দিনেরাতে দূরবীন শান দিয়ে
মশা খেলো রক্ত আমার
বিরক্ত এলো তারা গোনায়।


আজও ভাবি বসে বসে
সূত্র যদি মেলে শেষে
কে ঘোরে? সূর্য্য ঘোরে?না পৃথিবী ঘোরে?


ভোলা এলো হ্যারিকেন হাতে
বললো কি খুঁজছো আতস কাঁচে
খেঁকিয়ে উঠে বললাম
তুই বেট্যা জানবি কি করে
জীবন গেল হ্যারিকেন ধরে।


মুখ ঝুঁকিয়ে বলে ভোলা
বাবু ,দূরবীন আর আতস কাঁচে
জীবনটা শুধু বৃথাই গেছে
দুটোই ঘোরে কেউবা আগে কেউবা পরে।


হ্যারিকেন রাখলাম মাঝের ঘরে
তুমি আমি দুই পারে
এমনি করে দিনে ঘোরে রাতে ঘোরে ।


বৃত্ত একটা টেনে ভোলা
বলে-
দুজনে দুজনে না মেলার
পা ফেলা ।
বাবু তুমি আমি আগে পরে,
এমনি করে দুটোই ঘোরে।


বাবু -
তাকিয়ে থাকে ফ্যাল ফ্যালিয়ে
ভোলা হাসে খিল খিলিয়ে।
বাবু বলে -
মাথায় তোর জ্ঞান কত
ভোলা শুনে থতমত।


সমাধানটা পেলাম আজ
দূরবীন আর আতস কাঁচ
সবই এবার চুলোয় যাক
দৌড়ে যা রান্না ঘরে
কফি আন কাপ ভরে ।