ঝরাপাতা-পর্ব -2
----------------


প্রতিদিনের চেনা পথে
ভাঙা সাইকেলটা নিয়ে সাথে
মাঠের মাঝে কাঁচা পথ
তাতেই চলছে আকাশের দ্বীচক্র রথ।
কমলা আলোয় ছেয়ে আকাশ
মিষ্টি প্রেমের বইছে বাতাস।
হৃদ পিণ্ডের বাড়ছে বেগ
ধমনী শিরায় শিরায় বাড়ছে তেজ।

সূর্য এখন অস্তাচলে
ফিরছে কিছু পাখি
আকাশ পথে নক্সা এঁকে দলে দলে।
সেই টিলার কাছে এসে সাইকেলটার আজও  চেন পড়লো
যেন কোনো যাদু বলে এক নিমিষে আঁধার নেমে এলো।
মনে মনে বিরক্ত হলো
ঠিক এই জায়গাটাতেই
আজ আবার চেন পড়ে গেলো!
মুখ তুলে তাকিয়ে দেখে
টিলার আবাস থেকে আসছে আলো।
ভয় ভীতি দূরে রেখে তাকিয়ে রইল আলোর দিকে
কিছু ছায়া ছায়া মূর্তি বেরিয়ে গেল বাহির দিকে।


মনের মাঝে কৌতুহল
শরীর জুড়ে চলছে ভয়ের শিহরণ।
তবুও উৎকন্ঠায় তাকিয়ে আছে টিলার পানে
কারা থাকে ওই টিলার দামি পাথরের উচ্চাসনে।
ধীরে ধীরে বাড়ছে আরো অতিথি
অভ্যাগতদের আনাগোনা।
মনের মাঝে বাড়ছে পাহাড় প্রমাণ প্রশ্ন আর
বাপরে কত লোকের সাথে চেনাজানা।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে সাতপাঁচ
হঠাৎ -
টিলা থেকে ভেসে এলো কান্নার আওয়াজ
দ্বিধাগ্রস্থ মন কিছুই বুঝতে পারছে না
কি করবো এখন?
ছুটে যাবে ? কি যাবে না!
এই ভেবে ভেবে কিছুটা সময় করে দিলো পার।


আবাসটার চারিধারে
উঁচু বড় দেয়াল আছে ঘিরে।
রাস্তা কোথায়?
দ্বার কোথায় ?
কেমন করে যেতে হয়!
ভাবছি বারবার।
এমনি করে আরো কিছুটা সময় হয়ে গেল পার।
অন্ধকারের মাঝে
পাঁচ ছয়টা নেড়ি
কুকুর জুড়েছে চিৎকার।
আমার উদ্দেশ্যে মুখ উঁচিয়ে
দিচ্ছে বেজায় হুঙ্কার।
মারলো ছুঁড়ে কয়েকটা পাথর
ঐ সারমেয়দের মুখে
বেজায় চটে দ্বিগুণ রেগে তারা আরো বেশি চেঁচিয়ে উঠে।
মনের মাঝে দুরু দুরু ভয়
যদি সবাই মিলে কামড়ে ধরে
জীবনটা আজই পঞ্চ ভুতে হবে লয়।
ধীরে ধীরে সাইকেলটার চেন তুলে
জোরে দিলো হেঁচকা
ভাগ্যবলে বেঁচে গেলাম
ফিরে পেলাম জীবনটা।
মনের মাঝে প্রশ্নগুলো খোঁচা মেরে  উঠছে জেগে।
মনে মনে বললাম
একদিন যাবো ওই দামি ঘরে
কারা থাকে আর কারা বাস করে।


ক্রমশ..........