ঝরাপাতা-পর্ব-৬
---------------
সেই রাতে ভিজে ভিজে ফিরে
সাতদিন ধরে শুয়ে আছে জ্বরে
নিউমোনিয়ার ঠেলায় বন্দী  নিঃশব্দ ঘরে।
বদ্যি মশাইয়ের সেবায় উঠলো  শেষে সেরে।
দশ দিন পরে গায়ে শক্তি ফিরে পেয়ে
সেই রঙ চটা সাইকেলে স্কুল গেল ধেয়ে


স্কুলশেষে হেড মাস্টার এসে
বলে যেতে হবে
স্বরস্বতী পুজোর নিমন্ত্রণ দিতে
পাহাড়ের ওই টিলা ভূমিতে।
আকাশের কাঁধে পড়ল ভার
বাঁধ ভাঙা খুশিতে ডগমগ সে আজ
গুনতে থাকে কি করে আর
চারটা দিন করবে পার।
আর এক বার পাবে দেখা
সেই অপ্সরার
প্রহরের পর প্রহর খুশিতে কাটছে তার।
কল্পনার পুষ্পরথে
ঘুরে বেড়ায় আকাশপথে
প্রতিক্ষণে সেই অপ্সরা  সঙ্গে থাকে ।
গুনতে গুনতে এসে গেল
সেই প্রতিক্ষীত ক্ষণ
উথাল পাথাল মনের ভূমি
বিচলিত অস্থির মন।


পরিপাটি  হয়ে সেই রং চটা সাইকেলে করে
পোঁছে গেল টিলার সেই মহল বাসীর ঘরে।
অনেক হাঁক ডাক করে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে
এক পরিচারিকা এলো একগাল হাসি মুখকরে।
পিছনে সেই দৈত্যিকার বাহাদুর কাকা দাঁড়িয়ে।
আমতা আমতা করে বলে আকাশ
মহলে কি কেউ নেই নাকি?
এসেছিলাম স্কুলের নিমন্ত্রনের পত্র নিয়ে
স্বরস্বতী পুজোর প্রধান অতিথি উনি
উদ্বোধন করবেন প্রদীপ জ্বালিয়ে।
স্বমস্বরে বলে ওঠে
কত্তাবাবু আর দিদিমণি কেউ নেই ঘরে।
কত্তাবাবুর চিকিৎসার জন্য সবাই গেছে শহরে।


বিষন্ন মনে বিফল মনরথে
পত্রখানা দিয়ে-
ভাবতে ভাবতে ফিরে আসে ঘরে ।
কত্তাবাবু,চিকিৎসা,শহর
মনের মাঝে খচ খচ খোঁচা মারছে রাতভর।
ভাবতে ভাবতে রাত ভোর হয়ে গেল
কুহু কোকিলা ভোরাই শুরু করে দিলো।


ক্রমশ.......