খেলা হবে
/////////////


ঈশ্বরও আজ নির্বাক শ্রোতা
সময়ের সাথে হতবাক
সভা সমিতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে
ভাষণ শুনছে  দিনরাত।
নীল সাদা ও সবুজ ফুল দেখে
বেজায় তিনি খুশি
কান্ড কাটা দুটি পাতা রক্তে ডোবা,
তাতে মোটেও নয় তো দুঃখী।


নরনারী অকাতরে ডাকছে কুটে মাথা
বর কি দেবেন ভেবে ভেবে
নাড়ছে শুধু মাথা।
ভক্ত গনে ডাকছে  শুধু
চোখের ধারা যাচ্ছে বয়ে
হাত নাড়িয়ে দিলেন অভয়
আর ক টা দিন সবুর করো
সবই যাবে সয়ে।


সভার থেকে হুঙ্কারের ভাষণ
আসছে বেগে ধেয়ে
ধন্য ধন্য করছে বুদ্ধিজীবী
গাইছে উন্নয়নের গান ঢাকে বাদ্যি দিয়ে।
চপ শিল্পের বাদান্যতায়
বেড়েছে ঠোঙা শিল্পের প্রসার
কাশ ফুলে এবার হবে বালিশ তোশক
গর্বে গড়বে সবাই প্রাসাদ।
কিছু অশিক্ষিত মুচি মেথর,
টোটো চালক আর অর্ধশিক্ষিত যারা
সিভিক ভলেন্টিয়ার দের থেকে শিক্ষা নে তোরা
শিল্পের জোয়ার কতোটা এসেছে
আর ভাঁটায় ভাসছে কারা?
"শ্রী "শিল্পের উন্নয়ন আর প্রসার
সে তো রানীর হাত ধরে
কার ধড়ে মাথা আছে
রানীকে অবজ্ঞা করে।


এক পা এক পা করে তুমি
পার করবে পনেরোটা বছর
এর পরেও ঈশ্বর হাত তুলে
মাথা নেড়ে বলবে
কই পাইনে তো কোনো খবর।


ঈশ্বরও আজ ব্যস্ত এখন
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝুঁকে
বুক ফাটা কান্না বোঝার
হৃদপিন্ড নেই যে তার বুকে।
ঈশ্বরও আজ হতবাক প্রতি পদে পদে
হাত নাড়িয়ে বলছে আবার
বেঁচে থাকো তোমার কোরাপশনে
থাকো  উচ্চপদে।


পার্থ মদন ভাগ্নে দুজন
সাথে হনুব্রত মামা
এদের ছায়ায়
আছে আরো অনেক মহীরুহ
পোরে রংবে রঙের জামা।


ঈশ্বর বোধহয় বলেন মনে মনে
হাত নেড়ে মাথা নেড়ে দেখছি আমি
কে  বা ভন্ড কেবা  ত্যাগী ।
কে বা ভোগী কে বা জটায়ু
আমার হাতে লাটাই সুতো
আমি স্থির করবো সবার আয়ু পরমায়ু।


দিনের শেষে লগ্নে মিশে
আমি বিচারক
খেলো তুমি ডানে বামে আগে পিছে
আমি গোলদাতা আর আমি গোল রক্ষক।