কোথায় দাঁড়িয়ে আছো তুমি
*************************
অবাস্তব এক আদিম যুগের বর্বর সভ্যতার
বর্বরতায় বেঁচে আছি,
প্রাগঐতিহাসিক সময়ের অস্তিত্বহীন বর্বর,
গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ময়দানে দাঁড়িয়ে আজ।
একে অপরের নির্মম অচেনা,
মুখে নেই কোনো ভাষা,শুস্ক ক্রুর ঠোঁট,
পিশাচ জিভ, শরীর নীরাবরণ।
চোখের তারায় আদিম লালসার
লকলকে লেলিহান অবতার।


গগন চুম্বী তীব্র তর্জমা,
আপন আপন পরাক্রম শক্তি প্রদর্শনের ব্যঞ্জনা।
রণাঙ্গন চারিপাশ, চক্র ,বক্র, লম্বাকার কদর্য অঙ্গ ভঙ্গিমায় সীমা  নির্ধারণ।
স্ব স্ব মহিমায় অবতীর্ন আপন আপন শক্তি উৎসের উপর।
যাদের ভাষা নেই,কণ্ঠে কথা নেই নিরাভরণ শরীর !
সেখানেও কম নেই পেশী শক্তির বহর।
ইতিহাস তুমি বড্ড অসহায়
প্রাগঐতিহাসিক যুগেও ছিলে নীরব সাক্ষী,
আজ তুমি মৌন বাক্যহীন অতি মাত্রায় প্রাগঐতিহাসিক।


আজ কেউ গুহাচারি নয় অবয়বের পরিবর্তন শুধু নিরাবরণে।
অন্তরে অন্তরে -
শরীরের তন্ত্রে তন্ত্রে পড়ে আছে
আদিম চকমকি পাথরের যুগ।
আজও হাঁ করলে বোঝা যায়।
হাজার বছরের চেষ্টায় অঙ্গ
প্রত্যঙ্গের হয়েছে অতি মাত্রায় পরিবর্তন-
রমাপিথেকাস,সিন্যানথ্রপাস থেকে হয়েছে শুধু হোমোসাপিয়েন্স।
দিনে দিনে ইমারত মাঝে পরিপূর্ণ
আদিম বেবসি কারবার।
অধগতির স্রোতে
সবকিছু  আপন করছে প্রাগৈতিহাসিক আদব,আচার,বাপ্যার।