মা আসবি কবে বল
///////////////////////////
কেনে দিলি মা ধরা ধামে এমন জীবন!
যেখানে বাঁচার শ্বাস বায়ু
আর পা রাখার জায়গা ভীষণ  কম।
মা তোর মন তো বড় বিশাল
কিন্তু করুণা অনেক কম।
তোর ছেলে মেয়ের সংখ্যা
দিনে দিনে বেড়েই চলেছে ভীষণ রকম,
তারা যে সব উল্টো দুনিয়ার,
তোর থেকে পুরো মাত্রায় অন্য রকম।
সব কিছু দিয়েছিস তুই মা,
তাদের দেখতে লাগে মানুষের মতো,
মান আর হুশ কেন মা দিলিনা ?
তাদের আচরণ আজ
বন্য চতুস্পদীর  মতো।


কি কম ছিল মা তোর মায়াময়ী আঁচলে,
কি বা কম আছে তোর এই
রহস্যময়ী ধরা তলে?
সব কিছু আছে!!
তবু সহানুভূতি,সহনশীলতা
একবিন্দু নেই কারো মনে।


সবাই ভীষন চলছে বেগে বলছে আজ,
সবার আগে আমার চাই ,
কোনো বিচার ধারা,মানবতার
ধারে কাছে কেউ কোত্থাও নাই।


সবাই ভীষণ অস্থির আজ,
বিড়ম্বনায় ফেলছে একে ওকে,
একই সুরে গাইছে গান
দল ভারিতে টানছে নির্বিশেষে।
দিনের শেষে মরণ আর মারণ
ফাঁদে পড়ছে অকাতরে।
বিষের পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার
প্রবণতা বাড়ছে ঘরে ঘরে।


ধনী গরিব,নির্বিশেষে দিনে রাতে
হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক লাইনে,
গরল পেয়ালায় চুমুক দিতে
একই স্রোতে ছুটছে সবাই
কোনো কারণ খুঁজে পাইনে।
সবার মুখে একই ধ্বনি আরো আমার চাই
এযেনএক মড়ক লেগেছে করছে খাই খাই।

আড়ৎদার,মজুতদার নেতা,
আধুনিক জমিদার,ভদ্রভেশি বাবু,
কিংবা গলির সারমেয়।
সবাই আজ লোলুপ চোখে এক লাইনে
কাটছে না কারো মোহ।


জীবন ধারায় ভাব ধারায় রক্তধারায়
মিশে গেছে অশান্ত এই ক্ষয়রোগ।
অধৈর্য্য সবাই,অস্থির সবাই,
হানাহানির খেলায় বাড়ছে দুর্যোগ।


মা তোর প্রানের ছেলেরা খেলছে
আজ এই মারণ খেলা,
মেঘে মেঘে বেলা বয়ে যায়
দূর কর এই দুর্যোগ ধরা ভূমে আয় এই বেলা।