নাম তার পার্থীতা (দ্বিতীয় পর্ব)
////////////////////////////////////


সন্ধ্যে বেলায়  ,
উঠনে বসে কাকী-
মেয়ের কথা ভাবছে মনেমনে
কত ছোট ছিল মেয়ে,কান্না কাটি
ছুটো ছুটি খেলা করত এই উঠোনে।
উঠোনটা আছে আগের মতই
মেয়ে হয়েছে বড়,
বাঁধন, উঠোনের বেড়া খুলেদিয়েছি
মেয়ে এখন সব কিছুতেই হয়েছে সড়গড়।


একা ঘরে একা বাইরে ,
একাই সামলে নেয় ব্যস্ত শহরের ভিড়
ছোট বড় সব জিনিসের খবর রাখে ঠিকঠিক।
বাবার সুগার মায়ের রক্তচাপ সবই রাখে মনে
হিংসে করে সবাই বলে-
দিনু তুই ভাগ্য করে পেয়েছিস এক কন্যে।


পার্থীতা হঠাৎ করে চা হাতে এলো উঠোনে
ভ্রূ কুচিয়ে মুচকি হেসে বলে,
মা কি ভাবছো মনেমনে।
বাবা কোথায় গেল ?
সকাল থেকে ওষুধ খেতে
ভুলে গেছে ব্যস্ততার চাপে!
রেগে গিয়ে বলে মেয়ে
ওষুধ না নিয়ে কেমন করে থাকে।


মা জননী হেসে কয় তুই যে
সব ওষুধের ওষুধ
তুই সাথে থাকলে কিরে বাড়ে
কি আর অসুখ।
রেগে গিয়ে মেয়ে আবার বলে
ওসব কথার কথা,
ওষুধ বিনা রোগ বাড়বে
বাড়বে বুকের ব্যথা।


মা জননী আবার বলে,
তুইতো প্রাণ ভোমরা জিয়ন কাঠি
নয়ন মনি সবার।
তোকে ছেড়ে কাটবে জীবন!
বাঁচবো কেমন করে সেটাই এবার ভাবার।


ক্রমশ..........