নাম তার পার্থীতা (একাদশ পর্ব)
//////////////////////////////////////


বিলেত ফেরত ডিগ্রি ধারী
বুঝল না সে মেয়ের বাপের ব্যথা।
কোনো প্রতিবাদ করলো না সে
মেনে নিল আদর্শ বাপের কথা।
নয়ন জ্যোতি ভরলো জলে
গাঁয়ের মিষ্টি মেয়ের,
কেঁদে কেঁদে বলল শুধু এবার কি হবে?
গলায় ফাঁস দিল মেয়ে লোক চক্ষুর কথা ভেবে!
মুক্তি বোধহয় পেল সে?
জানিনা তার কথা
কাকা কাকী কেঁদেই মরে সওয়া যায় না ব্যথা।


ভোর রাতে জ্বললো চিতা
ছড়িয়ে দিয়ে আগুন
কত প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেলো
জীবনে তার শুরু হলো না ফাগুন।
বছরের পর বছর ক্ষমতার অলিন্দে
রচনা হয় নানান অন্ধ কানুন!
নেতা আর নেতার ছেলের
কি শাস্তি হবে? বিচার করুন!


কবে পাবে জ্ঞানের আলো?
কবে বুঝবে মান ও হুঁশের  ব্যথা ?
যুগে যুগে দহন প্রথায় আর কত বলি হবে
পার্থীতা ও তার পিতামাতা?
দেশি কিংবা বিলেতি ডিগ্রি
কি কাজে লাগবে??
পলিশ করা কোঁচা ধরে সেই বর্বর প্রথার
অনুগত ছেলে হয়ে থাকবে?
মিষ্টি মেয়ে পার্থীতার ছিল সবই গুন
জীবন যুদ্ধে হেরে গেল বোধহয় বর্বর সমাজে
যুদ্ধ করার পায়নি কোনো গুন।


চিতার আগুন ধিকি ধিকি এখনও জ্বলছে।
মংলা মাসির দেওয়া মুগা শাড়ীর
জ্বলা খণ্ড পড়ে রয়েছে পাশে
তিন পুরুষের ধাইমা অঝোরে কাঁদে
চিতার সামনে বসে।


!!!!!সমাপ্ত!!!!!