নাম তার পার্থীতা (সপ্তম পর্ব)
///////////////////////////////////


বৃন্দাবন বাবু আবার জিজ্ঞেস করে
পার্থীতা তোর কি চলছে মনে?
পার্থীতা কয়,
আমি ভাবছি সজনে ডাটা বা ডুমুর নিয়ে
গবেষণা করবো ডক্টরেট অর্জনে।
মাস্টার মশাই সজনে ডাটায় ,
আছে ভরপুর ইনসুলিন
আছে আরও অনেক কার্যকরী উপাদান।
রক্তচাপ,সুগার,কোলেস্টেরল কম করতে
এর ভীষণ রকম অবদান।


শোন দিনু শোন এ যে-
আমাদের গাঁয়ের গর্ব হবে,হবে আদর্শ
মা তুই সুখে থাক সুস্থ থাক
আর হ মা শতায়ুবর্ষ।
এই বলে বৃন্দাবন বাবু বেরিয়ে গেল
কাকা কাকী দুগ্গা দুগ্গা বলে মেয়েকে বুকে
জড়িয়ে কাঁদতে লাগল।


তিনজনে পুরস্কার গুলোর দিকে
নিস্পলকে তাকিয়ে আছে।
গত বছর মেধা তালিকার
শীর্ষে থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছে।


মায়ের চোখে বোয়ে এলো
বিন্দু বিন্দু জল
বাবার চোখও আর্দ্রতায়  ভরেছে
দুজনেই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলে
কত পুণ্যের ফলে এই অমূল্যরতন
মোদের ঘর আলোর করে রেখেছে।
চোখ মুছে দিয়ে পার্থীতা বলে,
বেলা হলো অনেক মেঘলা সকালে
দুজনেই ওষুধ খাও এক্ষুণি সব কাজ ফেলে।


টিয়া বৌদি এলো হনহনিয়ে ঘরে
বলে একটু বুঝিয়ে দাওনা
এই যোয্যতা অনু পরমাণুর অঙ্ক গুলো মোরে।
পার্থীতা হেসে কয় বউদি,
অঞ্জলীকে নিয়ে এসো
ওকেই ভালো করে বুঝিয়ে বলি
একবার তুমি বুঝবে ওকে বোঝাবে
কোথাও হয়ে যাবে "রসায়নের "ইক আসে'র
চাটনি কিংবা আলু কাবলি।
তার থেকে মা মেয়েকে এক সাথে
বোঝাতে পারলে আমারও হবে কম বকবকানি।


ক্রমশ........