নাম তার পার্থীতা (ষষ্ঠ পর্ব)
//////////////////////////////////
স্কুলের  প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন বাবু এসে
ডাক দিল দিনু আছিস নাকি ঘরে,
পার্থীতা বেরিয়ে এলো তড়িঘড়ি করে।
প্রাণম করে সরে দাঁড়ালো,
তারপর দিনু এলো
বৃন্দাবন বাবু বলে -
বিয়ের পরে মেয়ে কি চাকরি করবে না হবে ঘর কন্যে?
আমতা আমতা করে দিনু বলে
সেটা তো ও ভালই বলতে পারবে কি আছে ওর মনে।
শোন মা কেরিয়ারের সাথে ছেলে খেলা  করিস না।
আমার স্কুলে একটা "রসায়ন" শিক্ষকের খালি পদ আছে
চাইলে এখন বা বিয়ের পরে যোগ দিতে পারিস তাতে।


তোর যা ইচ্ছে হয় বলেই পা বাড়ালো বৃন্দাবন বাবু
কি ভাবলো কি জানে ফিরে এলো আপন মনে,
বৃন্দাবন বাবু বলেন,দিনু বড় লোকের ছেলে
খোঁজ নিয়েসিছ ভালো করে
ওদের এত দাবি দাওয়া সব দিবি কেমন করে।
ও সব নিয়ে কিছু ভাববেন না মাস্টার মশাই
আমার একটা মাত্র মেয়ে
তার সুখের জন্য সব কিছু করতে চাই।


দেখ দিনু তোর বাপের মাস্টার,
তোর মাস্টার তোর মেয়ের মাস্টারও আমি
তোর মেয়ে যথেষ্ট প্রতিভাবান
তোর থেকেও সেটা আমি ভালো করে জানি।
তোর মেয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী
আমার স্কুলেই পড়েছে
আমি জানি পড়াশুনো গান নাটক আবৃত্তি
খেলা ধুলোয় ওর কি প্রতিভা  রয়েছে।
প্রতিবছর আমার স্কুল জেলা,
রাজ্য স্তরে সব বিষয়ে প্ৰথম পুরস্কার পেত
যেদিন থেকে ও স্কুল ছেড়েছে
সবাই শুধু অংশ গ্রহন করত।


তুই একবার চেয়ে দেখ ওর পড়ার ঘর
কত পদক কত পুরস্কার জমে আছে ঘরের ভিতর।
শুধু বিলেত ফেরত ছেলে
বংশ মর্য্যাদা আছে  বলে দিচ্ছিস বিয়ে
গন্ডলগোল কিন্তু করতে পারে
পাওনা দেনার বিষয় নিয়ে ।
আগে একটা সময় ছিল লোকে জানতে চাইতো
ছেলের কি আছে ছেলে কী করে?
সময় এখন বদলে গেছে
নেতার ছেলে আর কিছু জানার দরকার আছে!


ক্রমশ........