নাম তার পার্থীতা (চতুর্থ পর্ব)
///////////////////////////////////


আকাশটা আজ আরো বেশি নীল
আরো বেশি চকচকে
এলোমেলো মেঘগুলো ভেসে যায়
এঁকেবেঁকে রকমারি মুখ এঁকে।
সাদা তুলোর মেঘ ধোঁয়ার বেশে
ভেসে যায় হেসে হেসে
ভেসে যাওয়া চাঁদের আলোয়
পার্থীতা দাঁড়ালো বারান্দায় এসে।
মুখোমুখি দুই চাঁদ ,
রূপের রাশি নিয়ে বলে যেন
কে কাকে দেখে?


রাত বাড়ে শীতের উষ্ণ পরশ ছুঁয়ে যায়
চোখ মুখ গাল মায়াবী ঠোঁটে,
অপলক নেত্রে পার্থীতা তাকিয়ে
ডুব দেয় নতুন জীবনের স্রোতে।


শত শত অজানা প্রশ্ন
মাথার মাঝে ঘুরপাক খায়
মনের কোনে হাজার শঙ্কায়
বুক কেঁপে কেঁপে যায়।
মনের মানুষ কেমন হবে
কেমন হবে তার হাবভাব
মেজাজ কি তার গরম না কি!
শান্ত মনের স্বভাব।


কোনটা ভালোবাসে আবার কোনটাতে হয় রাগ?
কেমন করে বুঝে বুঝায় সে
প্রেমের ভাষার রাগ অনুরাগ।
কেমন ভাবে মেনে নেবে মানিয়ে নেবে আমাকে?
আমায় কখনো বুঝবে কি ?
গুরুত্ব দেবে আমার মনের ইচ্ছাকে!


প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে মনের মাঝে
গড়ে ওঠে চোরা বালুরচর
সব মেয়েরাই আপন করে নিয়ে
স্বামীর সাথে বাঁধে নতুন ঘর।
মনের ভিতর আরো কত অস্থিরতায় রাত গভীর হলো
ভেসে যাওয়া চাঁদের আলোয়
কালপেঁচা সশব্দে উড়ে গেল।
অবসন্ন মন চাঁদের আলোয় অতল তলে ডুবদিলো
স্বপ্ন বিভোর চোখের পাতায়
নিদ্রাদেবী নিঃশব্দে ঘুম দিলো।


ক্রমশ..........