নিমন্ত্রন
//////////
সামনের গাড়িটা তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে
নম্বর প্লেটটা দেখা যায় না
রাস্তার বাঁক টা ঘুরেই দেখি
গাড়িটা মিলিয়ে গেল
হঠাৎ ক্যাচ ক্যাচ দুউমম আওয়াজ
কাছে যেতেই আমার চোখ চড়ক গাছ।
আমার প্রেয়সীর
পরম পূজনীয় পিতা।
যিনি কোনো দিন আমাদের প্রেমে
সিলমহর দেন নি।
উনার কাছে-
হৃদয় মন আবেগ প্রেম এগুলো  মূল্যহীন
উনার কাছে বস্তু সুখের দাম অনেক বেশি।


কানে উফঃ আহঃ
আকুতি মিনতির শব্দ এলো।
স্মৃতি চারণা বন্ধ করে
হাসপাতালে নিয়ে গেলাম,
উনি না চেনার ভ্যান করে পড়ে রইলেন।
দিনরাত এক করে  হাসপাতালে পড়ে রইলাম।
পনের দিন পরে সুস্থ হয়ে ফিরে গেলেন-
যাওয়ার আগে
হাতে একটা নিমন্ত্রণ পত্র দিয়ে
বাড়িতে ডাকলেন।


অনেক খুশি ,দ্বিধা সংশয় নিয়ে
মেলে ধরলাম
তাতে লেখা
আগামী ১৫ই আষাঢ় আমার একমাত্র কন্যার বিবাহ।
আপনার উপস্থিতি একান্ত কাম্য।


ধীরে ধীরে চোখের পাতা
আর নিমন্ত্রনের পাতাটা বন্ধ করলাম
চোখ থেকে উত্তাপ হীন কয়েক বিন্দু জল এলো।
মনে মনে বললাম
সময় বদলায়
তার থেকেও বেশি বদলায় মানুষ
আর মানুষের ভাবনা
যেখানে কথা বলে শুধু প্রাচুর্য্ আর বৈভব।