বসন্ত নাই মোর মালঞ্চে
==============


হে পান্থ
পায়ে পায়ে কোথা যাও আনমনে
বংশীর রব পার হয়ে যায়
জনহীন প্রান্তরে গগনে গগনে
দাবদাহের খরা
ধু ধু মেঠো পথ আঁকি বুঁকি চরণে
অখন্ড অভেদ্য
তিমিরে তিমিরে শৈত্য প্রবাহে।
ললাটে ললাটে যে লিখন লিখেছে বিধি নীরবে
পথের কিনারে অবাক নয়নে বিরস বদনে
অক্লেশে ফলে বিফলে
মনরথ আকুল পাথারের অপরাহ্নে
আঁকড়ে রেখে ব্যথা বেদনা বক্ষ পিঞ্জরে
খুঁজেছিস কারে


সখি কখনো কি
শুনেছো কাতর বুকের ডাক
বাঁকা পথের গলি বেয়ে
ফেলে গেছো শুধু ধ্রুপদী নৃত্যের ছাপ
চলনে বলনে বুঝিয়েছো
তুমি কখনোই নয় আমার সমান্তরাল
আজও আছে সেখানে অদৃশ্য অন্তরাল
নতজানু আমি বার বার
বিবেক আর প্রেমের দ্বারে


বালুতটে সামিয়ানা
তোমার হাত ভরে কুড়িয়ে তোলা ঝিনুক
অধরা ওষ্ঠ্দ্বয়
ধেয়ে আসা ঢেউ ধুয়ে যাওয়া বালু
সবই ছিল বর্ণময়।
ধারাপাতের বর্ণমালায়
ভরেছ যে অবজ্ঞার ক্ষত,
বক্ষ পিঞ্জরের দেওয়ালে
তার অনুরণন অবিরত


দুর্গমগিরী অরণ্যে ক্লান্ত শরীরে
মরু প্লাবনে বারী বাদলের ধারা
বুকে বয়ে বয়ে,
জীবন থেকে আশিটা বছর গেছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
পুষ্পপত্রে ভোরাই শত শতদলে
যা তুমি করেছিলে সূচনা পত্র পল্লবে পল্লবে
সবই আছে গোলাপী গুলঞ্চেবগুলঞ্চে।
শুধু বসন্ত নেই আজ আর মোর মালাঞ্চে