পলিমাটি
::::::::::::::::::::::::::


গাছের পাতার মধ্য দিয়ে
সকালের মিঠে রোদ উঁকি
দিয়ে ঝরে পড়ছে।
মাকড়সার জলের মতো
ছড়িয়ে যাচ্ছে মাটিতে।
শরীরে,মনে বুনে দিয়ে যাচ্ছে
নিত্য নতুন পথের দিশা
তন্দ্রা মুক্ত আলো।


যে তমশার তন্দ্রা আদর যত্নে
মাথা উঁচু করে বড় হয়ে হয়েছিল
সারা রাত্রি যাপন করে।
অরুন প্রাতের তরুণ লীলায়
মুছে গেল এক লহমায়।


নব যুগের ঐক্যতানে
দুর দেশী বিদেহী বাঁশি
করুন সুরে বেজে বিলীন হল
তমশা আবিষ্ট চোখে।
কর্ণ পাত করার অবকাশ নেই
বিবর্ণ বিমর্ষ মুখে।


ঘর বাঁধলাম মাটির মায়ায়
এঁটেল দোঁয়াশ মাটি দিয়ে
বালুমাটি জায়গা নিলো
মনের অগচরে।
ঝড় বাদলে সইবে কি আর?
গেল ধুয়ে মুছে।
ঘর বাঁধাটাই সার হলো রয়ে গেল
পতিত জমি বালুমাটির স্তূপে।


বেলায় বেলায় অবহেলায়
সময় হলো পার
তীরে এসে ডুবলো তরী
বালুতটে পেলাম কিছু অজানা
পায়ের ছাপ ।
পশ্চাৎ মুখী স্রোতের টানে
ডুবে গেল মনের ভূমি,
আশায় আশায় মোহের নেশায়
সন্ধ্যাকালে বাধক দশায়
প্রদীপ জ্বলে দীপ্ত শিখায়
চিন্তা যত মাটির মোহে
ছলাকলায় পূর্ণ আজ
বেঁচে রইলো মনের অনুতাপ।


ভাঙাচোড়া নৌকা আমার রইলো
পড়ে বালুতটে
হলো না পারাপার।