প্রভাত কড়চা
====================


নিঝুম রাতের তারারা সব মিটিমিটি করে চায়,
আকাশের কথা বাতাসে,বাতাসের কথা
মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়।।
শিশির স্নাত ভোরের হওয়া  
নকশা করে ঘাসের আগায় ,
প্রভাত জাগে প্রজাপতির আঁকি বুকি অল্পনায় ।।
ভোরাই সুরে পদ্মাবতী বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে জল অনিতে যায় কলস নিয়ে ।
গুরুমশাই এর  ব্যায়ামাগারে সুনীল ,
সবুজ, সমাজ কুস্তি বীরের ব্যায়াম করে ।
পরশ পাথর খোঁজার ছলে নবীন চলে দলে দলে ।
গুরুমশাই দাঁড়িয়ে আছেন
মিশি মুখে  ব্যায়াম গারের সমুখ দ্বারে।
শালিক ,চড়ুই চরে বেড়ায়,
দোয়েল পাখি উড়ে বেড়ায়,ফিঙয়ে নাচে ডালে ডালে।।


ঝিঁঝি পোকা ডাকছে কাছে পিঠে জয়োল্লাসে ,
শশীকলা ,স্বপ্ন দিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে  ফিরে গেছে বিজয় রথে
অলস শরীরে,শিশির সিক্ত শুভ্র শিউলি পড়েছে ঝরে ,
মংলা মাসি ভরাই সুরে কুড়ায় চুবড়ি ভোরে ।।
সূয্যি মামা উঁকি মারে পুব আকাশে সোনার টোপর পরে,
পুরুত মশাই বসেন উপাসনায় মন্দির গৃহে  স্নান সেরে ।।
প্রভাত ফেরির সন্দেশ হাতে প্রবীন,
কিশলয় হাতে নবীন, বসেছে মিঠে রোদ্দুরে,
আপামর কোলাহল পা বাড়িয়েছি
স্বপ্নের খোঁজে দূরে সুদূরে ।।
শহর মিশেছে ,একঝাঁক পাখি আর
একরাশ মানুষের  কোলাহলে ,
সবাই মিশেগেছে দিনের স্রোতে শৈত্য প্রবাহ ঠেলে ।।