প্রেম আছে প্রিয়া নেই
#############
কত বিনিদ্র রজনী হয়ে
গেছে পার,
জীবনের পাতা থেকে
ঝরে গেছে স্বপ্নের হার।
হার মানা হার দিনলিপি
রচে যাই  তব লাগি,
শত স্বপ্নের মরণ বীণায়
বাঁচার মন্ত্র আবার মাগি।


স্বপ্ন সুধার বেশে জীবন
ধারায় এসে শিখালে মোরে।
সাগর তুফান জলে বৈঠা
দিলে ফেলে নিজ হাতে করে।
দিন যে যায় তমশা ঘনায়
সূর্য্য ডুবার আগে,
মোহময়ী হেসে হাতে হাত রেখে
বেলা যেত বয়ে  রাগে অনু রাগে।


ময়ূরকন্ঠী শাড়ি,সাথে
পিতাম্বরী সহচরী,তব ছিল
ছিপছিপে গড়ন,
বাতাসে বাতাসে মরি মরি শ্বাসে
মজেছিল মন দেখেছিনু ফাগুন
আর হরিণী নয়ন।


বুঝেছিনু বুকের কলতান,
মুখেছিল লাজ,নত শীরে।
ছোটোছোটো পায়ে কলস কাঁখে লয়ে
মেঠো পথে অভিমুখ নীড়ে ।


ফাগুনেফাগুনে পলাশের আগুনে চাপা,
ব্যাথ্যা যত,রেখেছিনু তুলে ।
তব আবেশী মন,মায়াবী নয়ন
দর্শন কালে নিমিষে যেতাম ভুলে।


গোধূলি পরে পদ্মপুকুর ঘাটে,
চোখে চোখ রেখে
সময় যেত কেটে ।
এমনি করে তোমার মনের
ঘরে জায়গা দিলে মোরে।


সাঁঝবাতি সাথে তুলসি প্রদীপ
হাতে ধুপ ধুনা যোগে প্রনমী দেবতারে।
গঞ্জ গঞ্জ পরে শঙ্খধ্বনি
সমস্বরে বাজে প্রতি ঘরে ঘরে ।


প্রান্তর পরে দলে দলে বলাকা চলে,
এঁকে আশমানে আল্পনা।
অশ্বত্থ তলে বুকে মাথা
রেখে সময় চলে আনমনে।
তড়িৎ গতিতে বুকে সংশয় উঠে,
পড়শী করিবে কত রসিয়ে জল্পনা।


তারি মাঝে তুমি লৌহদৃঢ় তব মনভূমি,
সময়ের তালে রহিল অটল,অবিচল।
দেখি তব ঢাল স্বস্তি পেত বিচলিত প্রাণ,
হোক যত কানাকানি।


কোন নাগপাশ এসে বিঁধিল তোমায় শেষে,
আজও রহিল অজানা।
হৃদি মাঝে বসে রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে
যন্ত্রনায় পিষে কেন
রেখে গেলে জানিনা?


সবকিছু অজানা,তিলতিল যন্ত্রণায় বেঁচে আছি
তব পড়শী গাঁয়ে থেকে।
লোকে বলে শেষ বার দেখা,
যগিনী বেশে একা,
দেখেছে তোমায় উত্তর অভিমুখে যেতে।


আছি অন্তিম অপেক্ষায়,
মনে আছে বিশ্বাস আসবে
তুমি কাছে সেই চেনা
প্রেয়সী বেশে।