প্রিয়তামাসু
#######


অচেনা বেলা ভূমি,
তোমার আলতো পায়ের-
আলতো ছোঁয়ায় আঁকাবাঁকা,
আল্পনা দিয়ে যায় সমুদ্রের-
ভেসে আসা বালুকনা।


কেউ ভাবে এলো মেলো-
পায়ের ছাপ,
কেউ বলে আস্তা কুঁড়ে
ফেলে যাওয়া কণা
আমি বলি অন্তরের
মনিকোঠার পরিচিত এক কণা,
সে যে আমার স্মৃতিকনা।


উতল হওয়ায় উড়ে যাওয়া
কাজল কালো দীপাবলি,
পড়ন্ত বেলার সোনালী রোদ্দুর
যখন ধরা দেয় তোমার মুখে,
ঠিকরে পড়া আনবিল হাসি-
শরীরের কনায় কনায়
ভরে দেয় অফুরন্ত শক্তি।
ক্লান্তি ,অবসাদ,দূর করে
দেয় অবসন্ন মনে মুক্তি।


লোকে যে যাই বলে বলুক-
আমি বলি আমার মনের
মনিকোঠার অসাধ্য সাধনের -
অনু প্রেরণা,
সে যে আমার স্মৃতি কনা ।


পৌষের সাঁঝবাতি হাতে যখন-
তুমি প্রদীপ দিয়ে  দাঁড়াও
তুলসী তলায়,
কোলাহল ভরা দিন নতমস্তকে,
এসে থমকে দাঁড়ায়
তুলসীর সুগন্ধে আর প্রদীপ
শিখায়।
লোকে যে যাই বলে বলুক
আমি বলি আমার মনে-
নিঃশব্দে বিপ্লবের অগ্নিকনা,
সে যে আমার স্মৃতিকনা।


ফেলে আসা মাঘী পূর্ণিমা,
হিমেল হওয়া মিলে মিশে-
ভাসায় বিরহের ভেলা,
বেলাশেষে অবসন্ন মনের গভীরে -
ঝরে পড়া শিউলির স্মৃতি
আর পলাশের খেলা।


নিন্দুকের দাপানিতে ক্ষত বিক্ষত
করে দেয় ধৈয্যের প্রাচীর,
হাহাকার করে অশান্ত মনের-
হিসেব পাওনা দেনা।
লোকে যে যাই বলে বলুক
আমি বলি আমার মনের
অফুরন্ত এক প্রেরণা
সে যে আমার স্মৃতিকনা ।


কাখে কলসি নিয়ে আঁকাবাঁকা,
রাঙা মাটির পথে-
ফেলে যাওয়া স্মৃতি মৃদুপায়,
অপলক বিহ্বল নেত্রে বসে থাকা,
কাল বৈশাখী উপেক্ষা করে-
বুড়ো বটের তলায়।
অনাবিল আনন্দে তোমার ,
আগমনের আশায় ভেসে চলা ।
লোকে যে যাই বলে বলুক,
আমি বলি-
আমার অব্যক্ত এক অনু প্রেরণা
সে যে আমার স্মৃতি কণা ।


এমনি করে বুড়ো বটের তলায়,
আশিটা বছর হয়ে গিয়েছে পার,
তোমার স্মৃতিতে কেটেছে
কত অম্লান দিন রাত।


এসেছে আর এক নবীন
মহীরুহ, বুড়ো বটের তলে,
এও একদিন মিশে যাবে
আশি দের দলে।


জানিনা কোথায় হারিয়ে গেলে,
আঁকা বাঁকা পথের ভিড়ে,
অবাধ্য সময় জেগে জেগে
আজও অপেক্ষায় থাকি,
বট বৃক্ষের পর্নকুটিরে।


লোকে যে যাই বলে বলুক,
আমি বলি আমার চলার
পথের পাথেয় আর
বাঁচার অনু প্রেরণা-
সে যে আমার স্মৃতিকনা ।