সাগরিকা অষ্টম পর্ব
।।।।।।.।।।।।।।.।।।।.।।


তুই আর এক কাপ কফি দিয়ে যা,
আর ঘরের বাতি টাও নিভিয়ে দিয়ে যাস।
না না দাদাবাবু বাতি
আমি নিভাতে পারব না।
ওই টি হচ্ছে না।
ডাক্তার বলে অন্ধকারে থাকতে
যারা ভালোবাসে,
বুঝবেন হতাশায় ডুবে যাচ্ছে।
বলেই সে রান্না ঘরে গেল শেষে।


আকাশ ,
চোখ বন্ধ করে চেয়ারে
হেলান দিয়ে বসে আছে
চোখের উপর কিছু দৃশ্য
দলে দলে যাচ্ছে ভেসে।
কলেজে চলছে ফুটবল খেলা,
মাঠে হৈ চৈ পক্ষে-বিপক্ষে
চেঁচামেচি কত।
নিশ্চুপ হয়ে তারই মাঝে
সাগরিকা সখিসনে বসে
আছে পরির মত।


বাবু তোমার কফি গরম গরম
দাও চুমুক।
অন্ধকারে নয়,হতাশায় নয়
পুরানো আগের বাবু ফিরে আসুক।


জানিস হরিহর,
ফুটবল খেলায় হেরে গিয়েছিল
আমাদের দল।
তোর দিদিমণি কাছে এসে বলেছিল-
দেখলাম তোমার দলের,
দেখলাম তোমার কলাকৌশল।
কিন্তু জিততে হলে আরো
দরকার কঠোর অনুশীলন।


বাবু দিদিমনি এখনও ছেয়ে আছে
তোমার মনে প্রাণে।
বিধাতা কি লিখেছেন
কি রেখেছেন সেই জানে!
তোমার প্রতি পদে পদে
দিদিমনির ছায়া দেখি
যার জন্য তুমি এত কষ্ট পাও
কখনো বুঝে সে কি?


জানিস হরি হর খেলায় আমরা
হেরে গিয়েছিলাম সেটা খুব সত্যি কথা।
তোর দিদিমনির একটু কথায়
ভুলে গিয়েছিলাম হারার দুঃখ ব্যাথা।
তার পরে হয়েছে ফুটবল খেলা যতবার
জিতেছি সব সময় জিতেছি বারবার ।


তোর দিদিমনির কথার মধ্যে
সব সময়একটা জাদু আছে
আর মায়া আছে ওই মায়া ভরা মুখে।
একটু হেসে দিলেই সব কাজ
হয়ে যায় নির্বিঘ্নে অনায়াসে।
বাবু অতসত বুঝিনা
এটা বুজি এখন তোমারে ভূলে গেছে।


তুই কেন এতো বেজায় রেগে
তো দিদিমনির উপরে।
সত্যি করে বলতো!
তোর দিদিমণি ছিলোনা কি
তোর নয়নতারা হয়ে।


যখন ছিল তখন ছিল
এখন আর নিতে চাইনা নাম।
যেদিন থেকে ছেড়ে গেলেন
ভুলে গেল তোমারে,
বুঝলনা তোমার ভালোবাসা
দিলোনা কোনো দাম।


ক্রমশ..............