সাগরিকা দশম পর্ব
////////////////////////////
দাদাবাবু রাত্রি হলো অনেক
খাবার খান ওষুধ খেতে আছে বাকি।
কত খেয়াল রাখিস তুই আমার
সারা জীবন এমনি করে থাকিস।


দাদাবাবু মনজ উকিল এসেছিল
স্কুলের পারমিশন পেয়ে গেছে।
আগের মাসে ভিত্তি প্রস্থরের
কাজ শুরু হবে ।
নকশা যাবতীয়সব যন্ত্রপাতি
পৌঁছে গেছে।
দিদিমনিকে খবর দিয়েছি
উত্তরে বললেন যাওয়া সম্ভব নয়।
মা ঠাকুরণ স্কুলের নাম রেখেছেন
ভেলি হাইটস মিশন।
আধুনিক মা বাবারা চাইছেন
একটু ইংলিশ ঘেঁষা এখন।


দিনেদিনে হাসনু হানা,মাধবীলতা
মিশে যাচ্ছে মাটির পরে।
কেলেন্ডুলাও কেমন যেন
শুকিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ।
হরি বলে,
সবই দিদিমণির প্রিয় ছিল
যত্ন নিতেন নিজের হাতে।
শোকের ছায়া ছেয়ে গেছে,
এগিয়ে যাচ্ছে মরার পথে।
পন করেছে ওরা বাঁচবে না আর
কেউ এই শোকাতপ্ত ঘরে।
অচিরেই ছেড়ে যাবে,শুকিয়ে গেছে
এবার যাবে মরে।


সকালে চায়ে চুমুক দিয়ে
আকাশ সমুদ্র দেখছে,
হরি এসে বলো বাজারে যাচ্ছি
সব্জী শেষ হয়ে গেছে।
তুই ব্যাগটা আমায় দে
বাজার থেকে ঘুরে আসি
বছর দুই হলো গৃহবন্দি,
বদলে গেছে কেমন সব
একবার নিজের চোখে দেখে আসি।


আমতা আমতা করে
হরি দিল থলে হাতে ধরিয়ে।
দাদাবাবু আগের মতো হয়ে গেছে
খুশি গেল ছড়িয়ে।
তড়িৎ বেগে খবর গেল
কত্তা বাবুর কানে।
খুশিতে ঘর ভরে গেল
ছড়িয়ে গেল মনে।


সবাই ভীষণ খুশি হল
নিল ভগবানের নাম।
প্রভু তুমি আবার মুখ তুলেছো,তাকিয়েছ
বাঁচল মোদের প্রাণ।
খোকা আবার ফিরছে সেই
আগের জীবন ধারার স্রোতে।
ভুলে গেছে অতীত কাল
ভুলে গেছে সাগরিকাকে।


ক্রমশ...................