স্রোতস্বিনী
//////////////////
স্রোতস্বিনী যদিও বা তুমি
কেন স্রোতে আবর্জনা দুর্গন্ধ,
তোমার ধারায় তোমার মায়ায়
সিক্ত হয়েছে যে মাটি
তাতে আজ স্রোত বন্ধ!


তোমার জলে তোমার নামে তোমায় পুজে  যারা,
তাদের কখনো প্রশ্ন করেছ-
কিভাবে দূষণ ফেলছে তারা?
তোমার দুয়ারে তোমার ঘরে,তোমার পায়ে মাথা ছুঁয়ে
তোমার দাক্ষিণ্য পেয়েছে যারা
কখনও কি তারা অন্তর থেকে শুদ্ধ হয়েছে?
কখনো কি শুদ্ধ করেছে তোমার ফল্গুধারা?


স্রোতস্বিনী তুমি
দেখতে পাই তোমার স্রোতের ধারা,
বছর বছর,প্রতি বছর
কিছুজন হয় বেঘর,কিছুজন হয়
ভূমি হারা।
মাতৃ ছায়ায় মাতৃ মায়ায় কারা করে
মাতৃ আরাধনা?
কাদের ওপর শাসন চলাও
কাদের তুমি শিক্ষা দাও
কাদের উপর বর্ষে দাও তোমার
অভিশাপের আবর্জনা।


স্রোতস্বিনী তুমি,
যখন দেখতে পাই
হালের ফ্যাশান হাউসিং বাসী
উন্নত নগরের যত অস্বছ নিকাশি,
তোমার বুকের ওপর দিনেরাতে বর্ষে রাশি রাশি।
তুমি কি তখন দেখতে পাওনা?
যারা দূষিত করে তোমার পবিত্র ধারা!
হাসে কদাকার ভুবন জয়ী তৃপ্তির হাসি।


তোমার রোষানলে নীরব অশ্রু জলে
বুকফাটে কারো
কারো বা মুনাফার ভাঁড়ারে
জমছে কিছু আরো।
এত কিছুর পরেও তুমি স্রোতস্বিনী
আদি অনাদি কাল ধরে,
এত কিছুর পরও মাতা বলে জানি,
মাতা বলে মানি
রাখি মাথায় করে।


তুমি যে আচারে,বিহারে,
অযাচিত প্রহারে
প্রাণনাশিনী,প্রাণদায়িনী
মাতা গঙ্গা,মোক্ষদায়িনী।
নির্বিশেষে দলে দলে
পাপক্ষয়ে-
তোমারই অপবিত্র জলে
ডুব এখনো দিয়ে থাকি।