সোমাশ্রী
//////////////
ভেজা কাঠের চিতাটা এখনো
দাউ দাউ করে জ্বলছে।
আধপোড়া কাঠগুলো টপটাপ
করে পড়ে যাচ্ছে জ্বলন্ত
চিতা থেকে।
কুন্ডলীকৃত ধুঁয়ার সাথে চিমটি
পোড়া গন্ধে ভরে যাচ্ছে
শ্মশান সংলগ্ন সোনামুখী নদীর পাড়।


অপূর্ব মুখশ্রী ধস্ত,বিধস্ত অসুরের
নখের আঁচড়ে।
নিদ্রাশায়িত মায়াবী চোখ দুটো
আগুন শিখার ঝলকে
অব্যক্ত কত ব্যাথা বলে যায়।
কেউ বুঝলো কেউ বা তাকিয়ে রইল।
কারো বোঝার আগে রক্তমাংস
জ্বলে ছাই হয়ে গেল।


মহেশ অপলক নেত্রে তাকিয়ে আছে,
কোনো কিছুই প্রভাব ফেলছে না মনে  তার।
সোমাশ্রীর কথা গুলো কানে
করাতের মতো বাজছে বারবার।
একদিন তোমার কাঁধে শান্তিতে
মাথা রাখবো আমার,
বাঁ-দিকের ধুকপুক যন্ত্রের সাথে
এক হয়ে মিশে যাবে আমার
ধমনীর রক্তের চাপ।


এক জ্যোৎস্না রাতে ঢেউয়ের তালে
হেঁটে যাবো সোনামুখী নদীর চরে।
কথাগুলো জীবনের কোষ্ঠিপথরে
লেখা হল অন্য ভাবে।
বক্তা শ্রোতা আর বিধাতা আজ
অসহায় এক সরল রেখায়।


অসুর গুলো এখনো বেঁচে বহুরূপে
দুর্যোধন,দুঃশাসন নয়তো বা
রাবনের বেশে।
সময় বদলেছে জায়গা বদলেছে
রং বদলেছে,এসেছে নানা
নামের বাহার।
অসুর গুলো এখনো আছে,
বাঁচে সভ্য জগতের কোণে কোণে
অন্তসলীলা ফল্গু স্রোতের ধারায়।