তুলিকনা
########


বিষন্ন বেলাভূমি,ধুধু রুপালি
সমুদ্র সৈকতে বিকেলের চারণ,
যুগল,রমণীর পায়ের ছাপে
ছাপে আবেগের শিহরণ।
কর্ণে,কর্ণকুহরে রয়ে গেছে তোমার নূপুরের সিঞ্জন,
ঝিনুক,প্রবালের শবদেহ, সাদা
বালি, মিশেগেছে লালে ,
ঝাউ,পাইনের শুকনো
পাতা উড়ে গেছে দমকা হাওয়ায় বিষণ্ন বিকেলে ।


গোধূলির ধুলো,ফিরতি পথচারীর  
পায়ের সাথে দ্বিধাহীন হয়ে এক হলো।
ডুবেছে সূর্য্য ,দিন হারিয়েছে
রংবে রঙের তেজি আলো,
পশ্চিম দিগন্তে পঞ্জিভূত মেঘ,
বিবর্ণ রঙে আকাশ করেছে কালো।
দিশাহীন মাছরাঙা অন্ধকারের-
স্রোতে গা ভাসিয়ে,
ক্লান্ত ব্লগার দল আল্পনা করে নীল আকাশে,
অবসন্ন গলায় হাঁকডাক দিয়ে ফিরে গেল অবশেষে ।


ব্যস্ত গৃহস্থ রসইয়ের ভার নিয়ে,
পায়ে পায়ে ঘরমুখী পথে,
নবীন প্রবীণ বালকের দল ,
গোধূলির ধুলোয় মিশেএকসাথে।
একাকী ধেনু শূন্য মাঠে ঊর্ধমুখে
সমুখপানে মালিকের আশায়,
ফিরে গেছে সবাই কাজ সেরে
সন্ধ্যের আগে আপন বাসায়।


কিশোরের দল,কিশলয় পাঠে
নানীর নিকানো উঠোনে বসেছে ।
মন্দির প্রাঙ্গন ভক্ত সমাগমে
প্রৌঢ়-রা বৃত্তাকারে হারিনামে মজেছে।
নিত্য দিনের নিত্য খুসি সবই চলে সমানতালে,
শুধু হারিয়ে গেছে মোর তুলিকনা
যে ছিল সবার অন্তরালে।


অন্ধকার রাত গভীর হয়েছে
ঘুমহীন চোখ ,স্পন্দনহীন শ্বাসে।
বাতাসে বাতাসে বিষাদের
ধ্বনি আহ:রহঃ কানে আসে।
নিঃস্ব করেছ তুমি ভাবের ঘোরে কি নিঠুর ছলনায়,
মনের অন্তরালে ছিল কি শুধু ব্যগ্র বিষাক্ত প্রতারণা?


কল্লোলিনি ভাবের স্রোতে দিবানিশি মোজেছিলো সহজ সরল ,অবুঝ মন,
আঁধার হলো সময় গেল  বইলো বেলা হল না ফুল চয়ন।
দ্বিপ্রহরিক রৌদ্রাতাপে, তপ্ত বেলায় কাঁঠাল পাতার
ছায়ার মেলা,
প্রখর তাপে ,তপ্ত শহর ,তাম্র মুখের মায়া খেলা।
অস্তমিত সাঁঝ আকাশে নয়ন যুগল সদা সন্ধ্যতারা,
চাতক পানে ভরাই সুরে আঁখি যুগল  শুকতারা।