মানুষের হাড়
কবি রীতেশ কর্মকার


মানুষের হাড় খেয়ে বেঁচে থাকে নিস্প্রভ সমাজ
দালালি ছাড়পোকারা মৈত্রী করে অংশ নেয়,  ঘূনদের সম্মিলিত আলোচনায়।
আদিকাল থেকে নির্লজ্জ্ব তোষামোদ মিশে আছে সৃষ্টির রহস্যে।
মানুষের রক্তের স্বাদ মেশান হবে সকল নিষিদ্ধ খাবারে।
সেজন‍্য প্রান্ত থেকে অপ্রান্তে, সমস্ত ভূমিহীন, বোধহীনদের জমা করা হবে এক টুকরো রোদের লোভ দেখিয়ে।
সারি সারি হাড় আর সারি সারি বোধহীনরা,
নির্লিপ্ত সাহস অসার করে, তাদের তেজি রক্তের ধারাকে।
প্রখর শোষণের খরা গিলে খায় তাদের সমস্ত অশ্রু, প্রতিবাদের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি,ভিসূভিয়াসকে।
একজন অগ্নিপথবাসি চলে গেছে ভীষণ প্রতিবাদের মহাকাব্য সৃষ্টিতে, প্রহরির লৌহ ব‍েরিকেটে লাথি মেরে।
রোদেলা দুপুরের প্রবুদ্ধ সাহসেরা হাজির হল অযাচিত নিমন্ত্রনে।
উপেক্ষিত আলো আর আলোড়িত মশাল,
প্রস্তুত এক অধিকারলাভের বয়ঃসন্ধিক্ষনে।
প্রচন্ড সংঘর্ষে সৃষ্টি হবে এক কালখেকো বার্তা।
সমস্ত জটিল প্রথার অবগাহন করা হবে নতুর সৃষ্টির সুরে।
হাটু গেড়ে বসে থাকা অসাররা খুঁজে তাদের  অবাঞ্চিত অধিকার।
হাইবারনেসনে থাকা প্রতিবাদী বারুদ জড়ো হয় সুস্থ মানসিকতায়।
যখন প্রকৃতি নির্লিপ্ত,
সাদা রং গিলে খায় কালোছায়াকে,
বধির মুখ চেপে ধরে প্রতিবাদী দেশলাইয়ের,
অসুস্থ বেড়ীবাঁধ রুখে দিতে চায় সুনামীর প্রতিবাদী মিছিল।
ধেয়ে  আসা ঝিঁঝিঁপোকা নিষিদ্ধ কোরোসিনে শরীরে জ্বালায় বিভৎস অবগাহন,
অজানা বন্দিশালার নির্যাতিতরা পিঠমোড়া করে বেধেঁফেলে দুঃস্বপ্নগুলোকে,
কালান্তর ঘুর্নিঝড় আসবে, পচেঁ যাওয়া সংস্কৃতির মজ্জা ধুয়ে নিয়ে ফেলবে  মরিচিকার অন্তহীন পথে,
মৌলিক সংঘর্ষের আশা ধাবিত হয়-মুছে দিতে, অসুস্থ মানসিকতাকে।