তোমার বিকলাঙ্গ ধৃষ্টতা
রীতেশ কর্মকার


কোন লাভ নেই তোমার বিকলাঙ্গ ধৃষ্টতার,তোমার গায়ের চামরা পুড়ে তামাটে হলেও একখন্ড মেঘ পাবেনা তুমি,
তোমাকে এখানে রাখা হয়েছে এক মিথ্যে আস্ফালনের খাঁচায়,
বিনিদ্র  নিকষ আঁধারের মাঝে পথ খুজলেও তোমার জন্য বরাদ্দ হবেনা একটুকরো জোছনা,
আজন্ম বুভুক্ষু থাকলেও কোন স্বর্ণালী ধান তার একটি ছড়া তোমাকে ধার দেবেনা,তোমাকে ছুড়ে ফেলা হবে ইতিহাসের নিকৃষ্ট আস্তাকুড়ে কারণ একটাই,
পৃথিবীর জঞ্জাল পরিস্কার  হবে,
এ তালিকায় তুমি তোমার পরবর্তি প্রজন্মের সবার নাম পাবে,,
এ আধুনিক সভ্যতা তোমাদের নিয়ে আর বৃদ্ধি করবেনা তার লোকসংখ্যা,
বিনিময়ে তোমাকে পুরস্কৃত করা হবে হতাশা,দূভাগ্য আর সভ্যদের গালাগাল দিয়ে,
এবার নিশ্চয় তুমি খুশি,অনেক পরিশ্রমের পর অন্তত কিছুটা হলেও তোমাকে সন্মানিত করা হল,কি ভেবেছ তুমি?
তোমাকে উদ্ধারের জন্য কোন আব্রাহাম আততায়ির হাতে তার জীবন দেবে?
তা তুমি ভাবতে পার,
অনন্তকাল ধরে তোমার এ ভাবনা তোমার মস্তিকের নিউরনের চারদেয়ালে আটকে থাকবে,
তারপর নতুনকরে ইতিহাস লিখা হবে,সেখানে তোমাদের নাম সুন্দরকরে বাদদেয়া হবে,
বেমালুম ভুলে যাওয়া হবে তোমাকে,তোমার ত্যাগ আর ভাললাগাগুলোকে,
একটু অপেক্ষা কর,সময় তার মুখে রঙমেখে,পোশাক পড়ে প্রস্তুত হলেই  নাটকটি মঞ্চস্হ হবে এ মার্জিত সভ্যতায়।