অন্তিম শয্যায় মরণকামড় বসাচ্ছে বিদায়ী শীত,
বসন্তের ছোঁয়ায় আমি পর্ণমোচী থেকে চিরহরিৎ।  
পৌষালী কুয়াশাকে দূর করে যখন এসেছে মাঘ,  
কানে শুধু বাজে লাগ লাগ বিদ্যা মোর কন্ঠে লাগ।  
নৈবেদ্যে নিক্ষিপ্ত হলে অঞ্জলির বেলপাতা ও ফুল,
আহারের যোগ্যতা অর্জন করবে নিষিদ্ধ ফল কুল।    
মায়ের হাতে মাখা প্রসাদ দই আর খই এর দলা,  
মিষ্টি কষযুক্ত আম্রমুকুল ও যজ্ঞের পোড়া কলা।  
খাগের কলম আর আতপ দুধের কালির দোয়াত,
একদিনের জন্য পড়াশুনার শাসন থেকে রেয়াত।
ইচ্ছে থাকলেও যার সাথে হয়নি কোনদিন আলাপ,
তাকে দেখেই মনের নন্দনকাননে ফুটেছে গোলাপ।
পরনে তার স্লিভলেস ব্লাউস-স্বচ্ছ শিফনের শাড়ী,  
সে যদি রাজি হয় হতে আমার বাইকের সওয়ারী।
আমি হবো তার নাটাই আর সে হবে আমার ঘুড়ি,
তার খোলা চুলে পাবো আমি যৌবনের সুড়সুড়ি।    
তাপমাত্রা যতই নীচে নামুক থার্মোমিটারের পারদে,
আমরা কিছুতেই থাকবোনা চারদেওয়ালের গারদে।  
ছিন্নভিন্ন করে সব বন্ধন আর বিধিনিষেধের গোঁড়ামি,  
মুক্তির আনন্দে মেতে উঠবে আমাদের বসন্ত পঞ্চমী।