মনে পড়ে সেদিন-
রসিদ হাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়া,
মুখে হাসি দিয়ে চাঁদা চাওয়া।
মনে পড়ে সেদিন-
রাত জেগে পূজা মন্ডপ বানানো,
ময়দার আঠা দিয়ে কাগজ লাগানো।
মনে পড়ে সেদিন-
লিচু লাইট দিয়ে চারিদিক সাজানো,
টেপ রেকর্ডারে অডিও ক্যাসেট বাজানো।
মনে পড়ে সেদিন-
পুষ্পথালের উপরে তিল আর তিসি,
গোবর,গোমূত্র আর মধুর শিশি।
মনে পড়ে সেদিন-
পাটকাঠি,আমের ডাল আর মুকুল;
বেলপাতা,পলাশ আর উদাল ফুল।
মনে পড়ে সেদিন-
পুরুত মশাইর মুখে নিরবচ্ছিন্ন মন্ত্রোচ্চারণ,
সবকিছুর অনুমতি ছিলো পড়াশুনা বারণ।
মনে পড়ে সেদিন-
গরম লুচি আর বাঁধাকপির তরকারী,
পেট ভরে যত খেতে পারি।
মনে পড়ে সেদিন-
তোমার পরনে ইউনিফর্মের বদলে শাড়ি,      
ছাত্রী থেকে তুমি হয়ে উঠতে নারী।
মনে পড়ে সেদিন-
সাইকেল নিয়ে তোমার সঙ্গে হাঁটা,
সাক্ষী হয়ে থাকতো স্কুলের রাস্তাটা।
মনে পড়ে সেদিন-
তোমার ওই খোলা চুলের ঝাপটা,
বাড়িয়ে দিতো আমার বুকের রক্তচাপটা।
মনে পড়ে সেদিন-
যজ্ঞ শেষ হলে ভিড়ের ঠেলাঠেলি,
ভাবতাম তোমায় সবকিছু বলে ফেলি।
মনে পড়ে সেদিন-
তোমাকে দেখে মনে ফুটতো কলি,
সরস্বতীর বদলে তোমায় দিতাম অঞ্জলি।
আর আজকে-
চাকুরী পেয়ে বইখাতাকে বিদায় দিলাম,
আমিও যে একদিন ছাত্র ছিলাম।