বিদায়ী বসন্তের বাসর রাত্রি অতিক্রম করে প্রকৃতি,
কপালে পলাশের সিঁদুর লেপ্টে পেয়েছে স্ত্রীর স্বীকৃতি।
সজনে ডাঁটা চুষলে মুখে এসে পড়ে বিচি,
গাজনের তালে চলো সাজি শিব গৌরী মিছেমিছি।
বাঁশের মাচায় বাতাসে দুলন্ত কচি সবুজ পুঁইশাক,
যেন বলতে চাইছে যে আজ পহেলা বৈশাখ।
পহেলা বৈশাখ মানে ব্যবসায়ীর নতুন হালখাতা লেখা,
পহেলা বৈশাখ জানে পঞ্জিকায় বার্ষিক রাশিফল দেখা।
পহেলা বৈশাখ মানে জামদানি শাড়ির মাড়ের গন্ধ,
পহেলা বৈশাখ জানে হাফ শার্ট পড়ার আনন্দ।
পহেলা বৈশাখ মানে তোমার সঙ্গে প্রথম পরিচয়,
পহেলা বৈশাখ জানে গোপনে দুজনের মন বিনিময়।
পহেলা বৈশাখ মানে সূর্যের প্রখর রোদের উত্তাপ,
পহেলা বৈশাখ জানে তোমার উর্বর বুকের মাপ।
পহেলা বৈশাখ মানে শুকনো নদী-নালা আর খাল-বিল,
পহেলা বৈশাখ জানে তোমার পিঠে কোথায় তিল।
পহেলা বৈশাখ মানে অন্ধকার আকাশে মেঘের কালিমা,
পহেলা বৈশাখ জানে তোমার গাঢ় লিপস্টিকের লালিমা।
পহেলা বৈশাখ মানে তোমার গালে আলপনা আঁকা,
পহেলা বৈশাখ জানে মেতে উঠবে শহর ঢাকা।
পহেলা বৈশাখ মানে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ঢাকের শব্দ,
পহেলা বৈশাখ জানে আজ শুরু ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
পহেলা বৈশাখ মানে মাওয়া ঘাটের তাজা ইলিশ,
পহেলা বৈশাখ জানে ভাত কিভাবে হয় ফিনিশ।
পহেলা বৈশাখ মানে মেলার চন্দ্রকলা আর গজা,
পহেলা বৈশাখ জানে সপরিবারে সময় কাটানোর মজা।
পহেলা বৈশাখ মানে নাচ আর গানের জলসা,
পহেলা বৈশাখ জানেনা কে বিলকিস কে বিপাশা।