পৌষসংক্রান্তির পিঠা খেয়ে সূর্য্যের উত্তরায়ণ,
দিনে গরম ভাব আর রাতে মৃদু ঠান্ডা শিহরণ।
ভাতের হাঁড়িতে ফুটছে আমন ধানের চাউল,
সর্ষেক্ষেতে গুঞ্জনরত মৌমাছি হয়েছে বাউল।
শুকনো খালবিলে ওৎ পেতে আছে গাঙচিল,
মাঘমাসেই বসে গেছে তোমার মেহেফিল।
ক্রমশ: ভোঁতা হয়ে আসছে শীতের কামড়,
যৌবনের বার্তা নিয়ে তুমি ফেলেছো নোঙর।
কোকিল এখনও মুখে এঁটে রেখেছে কুলুপ,
তবু দখিনা সমীরণে মেতেছে মনের মুলুক।
যদিও ঠিকমত ফোটেনি কৃষ্ণচূড়া ও পলাশ,
তবু মনের গহীনে বাগদেবী বন্দনার উল্লাস।
উদাসীনতায় ভুলেই গিয়েছি আমি যে কবি,
আজ ফিরে পেয়েছি নিজের হারানো পদবী।
গাছে ঝুলছে থোকা থোকা কাঁচাপাকা ডুমুর,
সাঁওতালী রমণীগণ উচ্চস্বরে গাইবে ঝুমুর।
চোখ ঝলসে দেওয়া তোমার রূপের আগুন,
জানান দিচ্ছে দোরগোড়ায় উপস্থিত ফাগুন।
শেষ হতে চলেছে প্রেমিক-প্রেমিকার রোদন,
হোলির আবিরে রাঙিয়ে হোক বসন্ত বোধন।