পাত্রীপক্ষের সঙ্গে শত দর কষাকষির মাঝে,
কুমারত্বের আকাশে ঘন কালো মেঘ সাজে।  
সানাই এর সুরের মাঝে ভুলভাল মন্ত্র বলা,  
বলিদানের এক বেদী হয়ে উঠে ছাদনাতলা।  
গলার হার যেন শিকল,আংটি যেন আংটা;
এক রহস্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে ঘোমটা।
মালাবদল করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পরিচয়,
পর্দার আড়ালে এক ছায়াযুদ্ধের সূচণা হয়।
কর্তব্যের বোঝা আছে,নেই কেন অধিকার?
দাবীদাওয়া আছে,তবু নেই কেন আবদার?  
তন আছে মন আছে,তবু কেন সমঝোতা?
মুখ আছে ভুখ আছে,তবু কেন শুধু শ্রোতা?  
শক্তি আছে ভক্তি আছে,কেন লুন্ঠিত সম্মান?
যুক্তি আছে তর্ক আছে,কেন কুন্ঠিত প্রমাণ?
ভেজা জমিতে বীজ বুণলে যদি সে হয় কর্ষক,
শুকনা ভূমিতে ফসল তুললে কেন সে ধর্ষক?
পরিবারের কর্তা হিসেবে যদি কর্তৃত্বই না থাকে,    
তবে কি সুখ আছে এই উপবাসের সাতপাকে?
একদিনের ভুলের মাসুল সাতজনম গুণতে হয়,
এ কারণেই বোধহয় বিবাহ পুরুষের জন্য নয়।