বয়সের সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে প্রতিক্ষণে,
তবু ছেলেমানুষিটা পুষে রেখেছি সন্তর্পণে।
বিবর্ণতা ঢাকতে রঙীন শার্ট প্যান্ট পড়ি বেশী,    
নিন্দুকেরা তাই আমায় নিয়ে করে হাসাহাসি।  
ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে মাথার তালুর অঞ্চল,  
তবু উড়ু উড়ু করা মন এখনও ভীষন চঞ্চল।  
আমি নুন আনতে পান্তা ফুরানো নিম্ন মধ্যবিত্ত,
খালি পেটে ঢেঁকুর তুলে আমার কাব্য-সাহিত্য।
পত্রিকার পাতা ও টিভির পর্দায় একটাই খবর,
করোনা মহামারী খুঁড়ছে মানবসভ্যতার কবর।
লকডাউনের ভিড়ে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সের গণ্ডী,  
'স্টে অ্যাট হোম' অসম্ভব যখন গৃহিণী রণচণ্ডী।  
বিবাহিতের বিধিনিষেধ দেয় বাসনাকে পাহাড়া,
পিপাসাকাতর প্রাণটা যেন শুকনো মরু সাহারা।  
দাম্পত্যের অমাবস্যার অন্ধকারে জ্বেলেছি দিয়া,  
কারণ এখন সম্পূর্ণভাবে বৈধ ঘোষিত পরকীয়া।    
দেখলে তার প্লাক করা ঐ জোড়া পাতলা ভুরু,  
ইচ্ছা হয় জীবনটা আবার নতুনভাবে করি শুরু।
তার ঐ অপার্থিব রূপের সাম্রাজ্য নয় প্রাণীজ,  
আহরণ করতে চাই তার ভালোবাসার খনিজ।
তার সম্মোহনী মন্ত্রশক্তির সঙ্গে করেছি সন্ধি,      
আপত্তি নেই হতে তার দু'চোখের নজরবন্দী।
এড়াতে চাই বার্ধক্য পেয়ে যৌবনের উপবন,
হাতে হাত রেখে করবো তার সঙ্গে আলাপন।
আজ বসন্তের বিদায়লগ্নে যেন দেখি কুহেলিকা,
সমাধান করতে চাই আমার প্রেমের প্রহেলিকা।