আমি ছিলাম মধুকর তাই আমার জীবিকা মাধুকরী,
তুমি ছিলে জাদুকর তাই বুঝিনি তোমার জাদুকরী।  
তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে ঢাকা আমার দীর্ঘসূত্রিতা,
তোমার প্রতারণার চক্রান্তে চাপা আমার নির্বুদ্ধিতা।
তোমায় কাছে পেয়ে আমি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি,
তোমার শত্রুতার মাঝে নিজের মেজাজ হারিয়েছি।
তোমার হাতে হাত রেখে দেখেছিলাম পূর্ণিমার চাঁদ,
আসলে সেটা যে ছিলো তোমার পাতা ঘুঘুর ফাঁদ।
একদিন তোমাকে দিয়েছি নিজের সঙ্গিনীর সম্মান,
আজ তোমার সৌজন্যে আমার যেন ওষ্ঠাগত প্রাণ।
ধৈর্য্যের বাঁধ বেঁধে করেছি ভালোবাসার চাষাবাদ,
তুমি হঠাৎ বন্যা হয়ে করলে আমার ফসল বরবাদ।
তোমার বাধাদানের মাঝে আমার রচনা ছন্নছাড়া,  
তবু আমার বিদ্রোহী বাক্যগুলি যে দেয় মাথাচাড়া।
আমার কবিতার গীতিনাট্যে যতই টানো যবনিকা,
জীবনের প্রবন্ধে আমি লিখে যাবো উপক্রমণিকা।  
তোমার বিশ্বাসঘাতকতায় যতই হইনা কুপোকাৎ,
অবশেষে একদিন আমি ঠিকই করবো বাজীমাৎ।    
তোমার আঘাতে যতই রক্ত জমুক ধমনী-শিরায়,
তবু আমার প্রেম বেড়ে উঠবে কারোর পরকীয়ায়।  
বুকের বারুদে দেশলাই কাঠি ধরালে এক ঝটকায়,  
তবু যে বেঁচে থাকবো দেওয়ালির না ফাটা পটকায়।
তোমার কটূক্তিতে আজ আমার দুই কান ঝালাপালা,  
তাই অবিরাম বাজিয়ে চলেছি আমি বিরহের বেহালা।