মহামারী বিজয়ী পৃথিবীর বেড়ে গেল আয়ু,
যখন সময়ের আগেই এলো মৌসুমী বায়ু।
এই মর্ত্যদেশে হলো মেঘ পিওনের আগমন,
প্রকৃতির হাতে ধরিয়ে দিল বরুনদেবের সমন।
বৃষ্টিবাড়ির সেই মেয়েটি নাম তার বর্ষা,
যার চুল কালো কিন্তু চামড়া ফর্সা।
তার ব্যাকলেস ব্লাউজ আর পিচ্ছিল শাড়ি,
তীক্ষ্ণ চোখের দৃষ্টি যেন শাণিত তরবারি।
সে বেমালুম ভুলে গেছে তার লাজ,
মুষলধারে নেমে পড়েছে দেখিয়ে বুকের খাঁজ।
তার নাক থেকে নির্গত গরম নিঃশ্বাস,
যেন ঘোষণা দিচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস।
তার মেহেন্দি আঁকা দুটি নরম হাত,
যেন দুই দিন পরেই আইবুড়ো ভাত।
তার মেরুদন্ড বেয়ে নেমে আসা বৃষ্টির জল,
ক্ষেতে খামারে ফলায় সোনার খারিফ ফসল।
কিন্তু ক্রোধে উন্মত্ত তার পুঞ্জীভূত অভিমান,
চোখের পলকে গাঙ্গে ডেকে আনে বান।
তার রঙীন নকশা আঁকা আঁচলের ছোঁয়ায়,
আকাশে সাত রঙের রামধনু শোভা পায়।
দেখে তার কাজল মাখা চোখের পাতা,
আমি প্রতিদিন হারিয়ে ফেলি আমার ছাতা।