বছরখানা আজ এসে উপস্থিত শেষবেলায়,
ঘর সাজাও আমপাতা আর ফুলের মালায়।
খই এর ছাতু আর কড়াপাকের আখেরগুড়,
উভয়ের সংমিশ্রণে নাড়ু স্বাদে-গন্ধে ভরপুর।
বিষকাটালী-আটকাঁটার ধোঁয়ায় শুকনা লংকা,
দূর করে বিপদ-রোগশোকের সব আশংকা।
জাগ জাগ জাগ আমার ঘরে জাগ,
যত আছে সোনাচান্দি আমার ঘরে জাগ।
যত আছে ধন, দৌলত, সম্পদ আমার ঘরে জাগ।
যাক যাক যাক যত আছে মশামাছি,
আমার ঘর থেকে যাক।
যাক যাক যাক যত আছে রোগ বালাই,
সাত দরিয়া পার হয়ে যাক।
কোথায় যে হারিয়ে গেছে হরগৌরীর গাজন নাচন,
তবু এখনও বেঁচে আছে মায়ের হাতে তৈরী পাঁচন।
করোনার থাবায় বিশ্বব্যাপী মানবজাতির মড়ক,
কেবলমাত্র আটকাতে পারে আজ দেবতা চড়ক।
ভোজনরসিক যে বাঙালী ঋণ করে ঘি কিনে,
সে কি রসনা সংবরণ করবে চৈত পরবের দিনে?
শহর যখন মেতে আছে লেইট নাইট পার্টির ভিড়ে,
গ্রাম বাংলা বেঁচে থাক তার লোকসংস্কৃতিকে ঘিরে।