আবহাওয়া কখনও শুষ্ক তো কখনও আর্দ্র,
গুটিগুটি পায়ে চুপিচুপি এসে গেছে ভাদ্র।
রোদেলা আকাশ আর কালো মেঘের গর্জন,
কিভাবে হবে ক্রুদ্ধ শরৎ সজনীর মানভঞ্জন?  
প্রকৃতি দেবীর এত খামখেয়ালিপনার মাঝে,
দূরে কোথাও যেন অস্পষ্ট জলনূপুর বাজে।
শিউলির দেখা না পাওয়ায় ফোটেনি কাশ,
শিশিরের ছোঁয়া না পাওয়ায় উদাসী ঘাস।
আকাশে চোখে পড়েনা পেঁজা তুলোর মেঘ,
কুমোরপাড়ায় নেই কোন ব্যস্ততা ও আবেগ।
ধানী জমিতে আর নেই সে সবুজের সমারোহ,  
ক্ষতিগ্রস্ত চাষী ত্যাগ করেছে ধানচাষের মোহ।  
দোকানী এখনও সাজায়নি কাপড়ের পসরা,
ক্লাবে এখনও হয়নি পূজো কমিটির খসড়া।  
মনটাও অন্যান্য বারের মত হয়নি উথলা,
গণেশ বন্দনায় লাগেনি উৎসবের দোলা।
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে,  
যদি দেন তাঁর আশীর্বাদের হাত বাড়িয়ে।  
মহালয়ার পরে সুদীর্ঘ একমাসের বিরতি,
মহামায়া কি লিখবেন মানবজাতির নিয়তি?
সবার মনে এখন একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা,    
কখন করোনা দমন করবেন দেবী দশভূজা?