একটি মেয়ের গল্প বলি নাম ছিল যার ইংটি,  
আমার রক্ষণশীল ত্বকে সে কেটেছিল চিমটি।  
রাজযোগ কোর্স করেও দেখলে কুমারী কায়া,  
মনে পড়ে তার ঐ দু'চোখের সম্মোহনী মায়া।
সেবার বনভোজন সেরে বাড়ি ফেরার পথে,  
মুখোমুখি আমার দেখা হয়েছিল তার সাথে।
দুর্গাবাড়ী চা বাগানের সরু মেঠো পথ দিয়ে,
সে চলে যাচ্ছিলো চা পাতার ঝুড়ি পিঠে নিয়ে।
তার নাম জিগ্যেস করা হয়নি আমার সমীচীন,  
মাথা নামিয়ে সে উত্তর দিল,"মুই ইংটি বিন।"  
গোলাপী আলোয় আলোকিত সেই গোধূলি,  
ভুলিয়ে দিয়েছিলো আমি শহুরে বাবু,সে কুলী।
আমি সরকারী চাকুরে স্নাতক অবধি পড়াশুনা,
সে দিনমজুর,লাইনে দাঁড়িয়ে তার মজুরি গুনা।  
আমার আরাম আর আয়েশ তবু অফিসের ক্লান্তি,
তার রোদে পোড়া গায়ের রং তবু মুখে প্রশান্তি।
আমার অহংকার যে আমি আর্যজাতির বংশধর,
সে অনার্য বলে সমাজে তার নেই কোন কদর।
তাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে এলাম তাকে এড়িয়ে,
আজও তাকে ভুলতে পারিনি এতবছর পেরিয়ে।
হয়তো তার এখনো নুন আনতে পান্তা ফুরায়,
সে চা বাগানে তার ঝরা স্বপ্নের পাতা কুড়ায়।