এতদিন বাম বুকে ধরে রক্তমাংসের হৃদয়,
করেছি শুধুই ব্যথা আর বেদনা সঞ্চয়।
বাইরের কোলাহল যখন হয়ে যায় স্তব্ধ,
তখন শোনা যায় তার লাব-ডাব শব্দ।
বেঁধে রাখতে গিয়ে নিজের বাঁধনহারা আবেগ,
সুখ-শান্তি আর কামনা-বাসনা করেছি সব ত্যাগ।
কেউ যদি এই কোমল হৃদয়টা নিয়ে,
গড়ে দিতো বজ্রকঠিন ইস্পাত ধাতু দিয়ে।
সামনে দিয়ে গেলে কোন রূপসী নারী,
বিরহে হতোনা আর এই হৃদয়টা ভারী।
আর্দ্র জলবায়ুতে আর ধরতোনা মরিচার জং,
মনে আর লাগতোনা অনুরাগের বাহারি রং।
চাপ কমে যেতো ধমনী আর শিরায়,
এভাবে কষ্ট পেতে হতোনা আর মনঃপীড়ায়।  
সব যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে যান্ত্রিক ছন্দে,
অলিন্দ আর নিলয় মেতে উঠতো আনন্দে।
অশান্তি যতই হোক বাইরের কিংবা ঘরোয়া,
আগের মত আর করতামনা কিছু পরোয়া।
যত ছলনা, বঞ্চনা, লাঞ্ছনা আর অপমান;
এসব থেকে পেতাম আমি চিরতরে পরিত্রাণ।
ঢাকিশুদ্ধ বিসর্জন দিতাম প্রেম আর ভালোবাসা,
কেউ মন ভাঙতোনা জাগিয়ে মিথ্যা প্রত্যাশা।
সুরের ঝংকার তুলে আর বাজতোনা মনোবীণা,
দু'চোখে বিরাজ করতো শুধু একরাশ ঘৃণা।
ছেড়ে দিতাম মায়া, মমতা আর মমত্ববোধ;
হাসিমুখে নিতাম শুধু গুনে গুনে প্রতিশোধ।
ঘুচিয়ে ফেলতাম যত আছে মনের খেদ,
সংসার জীবনের ইতি টেনে করতাম বিবাহবিচ্ছেদ।
এভাবেই ধুঁকতে ধুঁকতে করছি আজও জীবনযাপন,
কবে হবে আমার ইস্পাতের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন?