গুটিয়ে নিয়েছি আমার জীবনের আস্তানা,  
কলম তুলে রেখে ধারণ করেছি দস্তানা।    
ত্বকের জৌলুস হরিতেছে জলের খরতা,
মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি গ্রাস করছে জড়তা।
কুয়াশার ক্যানভাসে সূর্য্যও যেন নিস্তেজ,
খেজুরের রস মুখে আনে শীতের আমেজ।  
আলস্যের লেপমুড়ি দিয়ে ঢাকি চোখমুখ,
এ যে আমার অবিস্মরণীয় সুখের অসুখ।
নিঃস্তব্ধ রাত্রিকে বানিয়ে নিজের দোসর,  
বালিশ বুকে জড়িয়ে যাপন করি অবসর।
ডাইরির পাতা লেগে গেছে নিজেদের গায়ে,
ছন্দের নূপুর বড়ই বেসুর কম্পমান পায়ে।  
প্রেরণার পাখী উড়ে গেছে উষ্ণতার খোঁজে,
রিফিলের কালি শুকিয়ে গেছে সুযোগ বুঝে।  
কি নামে ডাকি তোমায় খুঁজি আমি শব্দকোষ,  
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে হয় স্বপ্নদোষ।    
প্রকৃতি যেন এক ছায়া ও ছবির লীলাভূমি,  
যেখানে নায়ক ও নায়িকা আমি আর তুমি।
সোনালী ফসলের শোভায় সজ্জিত ধানক্ষেত,
দিচ্ছে আমার প্রস্তাবে তোমার সবুজ সংকেত।
বাগিচার গালিচায় ফুল আর অলির সমারোহ,
কিভাবে সংবরণ করি কবিতা রচনার এ মোহ?  
অবদমিত ভাব আর ভাষার অভাবের সংঘাত,
স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশের পথে সৃষ্টি করে ব্যাঘাত।
বছরের শেষলগ্নে চতুর্দিকে আজ উৎসবের ধূম,  
আমি কাটিয়ে উঠতে পারিনি কবিতার শীতঘুম।