হে সুন্দরী, গেঁওয়া, কেওড়া আর গরান;
চোখের খর জলে নিষ্প্রাণ আমার পরান।
প্রেরণাহীনতায় থমকে গেছে কবিতালেখা,
যৌবনটা ম্লান করেছে কপালের বলিরেখা।  
শিকড়ের কাদায় দমবন্ধ জীবনের উপকূল,
তাইতো ছড়িয়েছি অভিযোজনের শ্বাসমূল।
হরিণ আর হরিণী হয়ে আমলকী গাছের তলে,
তোমার আমার দেখা হবে প্রাতঃভ্রমণের ছলে।
সপ্তাহের একঘেয়েমি কাটিয়ে ছুটির রবিবারে,
তোমার সঙ্গে মিলিত হবো নিষিদ্ধ অভিসারে।
রাতের অন্ধকারে যখন উঠবে মায়াবী চাঁদ,
ফুল নিবেদন করে নেবো বনবিবির আশীর্বাদ।
আমাদের গন্ধর্ব বিবাহে ইন্দ্রিয়সুখের পরশে,  
তুমি সন্তানসম্ভবা হয়ে উঠবে আমার ঔরসে।
ভালোবাসার উজানে স্রোতে ভেসে গিয়ে দু'জনে,
জোনাকি হয়ে জ্বলবো মোরা রূপকথার সুন্দরবনে।