সেও কাজে বেরোতে ঠাকুরকে ডাকে,
খদ্দেরের টাকা গুনে ব্লাউজে গুঁজে রাখে।
হোটেলের সামনে কিংবা রাস্তার মোড়ে,
ছেনালি চোখে সে কোমর দুলিয়ে ঘোরে।
পায়ে নূপুর আর হাতে রঙীন কাঁচের চুড়ি,
বয়সটাও বড়জোড় আঠারো থেকে কুড়ি।
শরীর বিক্রি করে শরীরের কাপড় কেনে,
এ সমাজ তাকে পতিতা নামেই শুধু চেনে।
গণ্যমান্যদের চোখে সে ভোগের পণ্য গণিকা,
ব্যবসার খাতিরে মালতি নাম পাল্টে মনিকা।
দুর্গাপূজায় যখন অপরিহার্য তার বাড়ির মাটি,
তখন তার জীবন ফেলে দেওয়া আমের আঁটি।
সেও কারোর না কারোর মেয়ে বা বোন,
তার একমাত্র ঠিকানা রেড লাইট জোন।
সবাই যখন খুঁজে একটা সম্মানজনক কাজ,
সে অর্থ উপার্জন করে দেখিয়ে বুকের খাঁজ।
ওয়ান শট কখনো পাঁচশো কখনো হাজার,
এভাবে উঠে নামে তার ইজ্জতের বাজার।
পেটের জন্য সতীত্বের সীমা করে অতিক্রমণ,
কখনো কখনো হয়ে যায় যৌনরোগ সংক্রমণ।
সিঁদুরবিহীন তার পোড়া কপালে জুটে লাল বিন্দি,
শাঁখাহীন তার শূণ্য হাতে আঁকা বেনামী মেহেন্দি।
নিষিদ্ধ পল্লীর কালো খাতায় নিজের নাম লেখে,
সেও স্বামীর সংসার করার সোনালী স্বপ্ন দেখে।