ওগো মোর স্মিতহাস্যময়ী আয়তনয়না,
তুমি যে সদা লাস্যময়ী আর স্বল্পবসনা।
তব ঐ পটলচেরা আঁখিতে যবে পড়ে মম আঁখি,
মনে হয় এই জীবনে ভালোবাসা এখনও বাকি।
মোর হ্রদয়ের সিংহাসনে তোমায় দিয়াছি স্থায়ী স্থান,
তোমাকে পাইতে দূর করিয়াছি দাম্পত্যের পিছুটান।
ভেবেছিনু সংসার ছাড়িয়া ধারণ করিবো ব্যাঘ্র ছাল,
তুমি কেন মোর উপর বিস্তারিলে তব ঐ মায়াজাল?
তব কৌমার্যের নিধিবনে মম প্রবেশ যখন নিষিদ্ধ,
তবে কেন করিতেছো মোরে তব প্রেমবাণে বিদ্ধ?
তব মসৃণ ত্বক বহিয়া খসিয়া পড়া ঐ পিচ্ছিল শাড়ি,
আমি কি ভূমি হইতে তব হস্তে তুলিয়া দিতে পারি?
দর্শন করিয়া তব ঐ ভুবনমোহিনী যৌবনের প্রকাশ,
মোর নির্বাপিতপ্রায় কামাগ্নির আবার ঘটুক বিকাশ।
যদি মোরে বন্দী করিত তব ঐ সুডৌল বাহুবন্ধন,
ক্ষুধা-তৃষ্ণা ভুলিয়া থাকিতাম যতই হউক অরন্ধন।
তব ঐ ডিঙি নৌকার ন্যায় শীর্ণকায় শরীরের গড়ন,
সর্বাঙ্গে জাগ্রত করে শীতের পড়ন্ত পারদের শিহরণ।
তব ঐ অধরা দুধে-আলতা বর্ণের কোমল নাভিদেশ,
ধরিয়া করিতে চাই মোর পরকীয়ার পদ্য রচনা শেষ।