প্রেম নাকি পূর্ণতা পায় পরালে সিন্দুর,
তাহলে তো বিবাহ টিকতো শুধুমাত্র হিন্দুর!
আমাকে দিনরাত করে দাম্পত্যের দুর্ভাগ্য তাড়া,
তাই সবকিছু থাকা সত্ত্বেও আমি সর্বহারা।
সকলের জন্য ঘোষিত হলে প্রেমের স্বাধীনতা,
ভালোবাসার ক্ষেত্রে থাকতো না কোনো প্রতিবন্ধকতা।
প্রেমের বেদীতে প্রতিষ্ঠিত হলে অবাধ গণতন্ত্র,
বিবাহটা হয়ে উঠতো না শোষণের যন্ত্র।
তোমার দুই কানে শুনিয়ে সম্মোহনের মন্ত্র,
আমি জানতে পেরেছি কাকে বলে সমাজতন্ত্র।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে তোমার যৌবন বেলাগাম,
ইন্দ্রিয়ের বেগ সামলাতে করে চলেছি শ্রেণীসংগ্রাম।
মার্কসবাদ আর লেনিনবাদ পড়েও হয়নি বোধগম্য,
তোমার স্তনযুগলের আকৃতিতে কেন এত বৈষম্য?
সারা পৃথিবীতে যখন ধসে পড়েছে অর্থনীতি,
তোমার মাংসল নিতম্বে বেড়েই চলেছে মুদ্রাস্ফীতি।
তোমার খুনী দৃষ্টির গুলিবৃষ্টিতে লুটিয়ে পড়েছি,
তবুও বুকের রক্তে রাঙানো পতাকা ধরেছি।
তোমার সারা দেহ জুড়ে আভিজাত্যের ছোঁয়া,
আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি তুমি বুর্জোয়া।
তোমার ভুবন ভুলানো ঐ সৌন্দর্যের বৈভব,
দেখে কামনা করি দীর্ঘজীবী হোক বিপ্লব।
একদিন স্লোগান তুলেছিলাম নিপাত যাক পুঁজিবাদ,
কিন্তু তুমি শিখিয়ে গেলে প্রেমের সাম্যবাদ।