তুমি ব্রহ্মার পদ্ম,শিবের ত্রিশূল আর বিষ্ণুর চক্র,
তুমি দধীচি মুনির অস্থিতে তৈরী কঠিন বজ্র।  
তুমি পরশুরামের হাতের ধারালো কুঠার,
তুমি রামের তারকা আর কৃষ্ণের পুতনা সংহার।
তুমি কখনও দেব,কখনও যক্ষ আর কখনও গন্ধর্ব,
তুমি চতুর্বেদের ঋক,সাম,যজু আর অথর্ব।
তুমি চড়ক,সুশ্রুত,আর্যভট্ট আর পতঞ্জলি,
তুমি মহেঞ্জোদাড়ো আর হরপ্পা নগরের গলি।
তুমি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নারী শিক্ষার প্রসার,
তুমি রামমোহন রায়ের সতীদাহ বিরোধী হুংকার।    
বুকের রক্ত ঢেলে তুমি গড়েছো সভ্যতার ভিত,  
কি গ্রীষ্মের দাবানল,কি বর্ষার ঢল,কি কনকনে শীত।  
তুমি কারো বাবা,কারো ছেলে আর কারো ভাই,
আজ পশুর জন্য আইন থাকলেও তোমার জন্য নাই।  
সাতপাক ঘুরে সাত জনম শুনছো যার কর্কশ কথন,  
সে আবার বলে তুমি কর তাকে মানসিক নির্যাতন!  
যাকে বাসের সিট ছাড়ো দিয়ে মানবিকতার দোহাই,
ধাক্কা লাগলে সে-ই বলে,"তোর ঘরে মা-বোন নাই?"
রাস্তায় সাইড চাইতে হর্ন বাজাতে তোমার ভয়,
এতে যদি আবার কারো শ্লীলতাহানি হয়!  
প্রমাণের অভাবে মিথ্যা অভিযোগে কেন মুখ লুকাও?
হে পুরুষ,তুমি এবার কথা কও।