পূরণ করতে গিয়ে ফেস্টিভেল অ্যাডভান্সের ফরম,
কল্পনা করেছি পকেটটা হতে চলেছে গরম।  
দশটি মাসে কিস্তি কেটে নিক যতো,
আমি একমাস তো বাঁচবো রাজার মতো।
পূজার অনুদানস্বরূপ প্রাপ্ত এক হাজার টাকা,
দিয়ে কাপড় কিনে যাবে শরীর ঢাকা?!
স্ত্রীকে তিন হাজার না দিলেই নয়,
আবার সন্তানের আবদারও রক্ষা করতে হয়।
বৃদ্ধ বাবা-মা কোন কথা মুখে আনেনা,
তবু তাদের না দিলেও মন মানেনা।
জামাইর শার্ট প্যান্টের টাকা পাঠায় শ্বশুর-শাশুড়ি,
তাদের না দিয়েও কি থাকতে পারি?!
মুচকি হেসে কাজের মাসি স্বপ্নার মা,
"বাবু,এ মাসে এস্ট্রা টেহা দিতেননা?!"
সকালে কলিং বেল টিপে পাড়ার দাদা,
"টেন পার্সেন্ট বাড়াইয়া দিবেন পূজার চাঁদা।
অষ্টমীতে অন্নভোগ,নবমীতে খিচুড়ি,দশমীতে ডিজে;
না পারলে ক্লাবে দেখা করবেন নিজে।"
তিন দিনের ছুটির মধ্যে রোস্টার ডিউটি,
অফিসে না গেলেও থাকে শাস্তির ভ্রুকুটি।
গিন্নির নির্দেশ,"পূজার তিন দিন নিরামিষ;
আনতে হবে গোবিন্দভোগ চাল,কাজু,কিসমিস।
বাজারের ব্যাগ যেন না আসে খালি,
মেনু মুগ ডাল সঙ্গে সবজি পাঁচমিশালী।"
পূজা দেখতে রিজার্ভ করতে হবে অটো,
স্টুডিওতে গিয়ে তুলতে হবে ফ্যামিলি ফটো।
মাংসের দোকানে হাসে পাঁঠার কাটা মুন্ডু,
"আমার মাংস কেনার ক্ষমতা আছে গান্ডু?"
সাধ আর সাধ্যের মাঝে সামঞ্জস্য খোঁজা,
এভাবেই কেটে যায় সরকারী কর্মচারীর পূজা।