ফুল সিগনেচারটা যেদিন হয়ে গেল ইনিশিয়াল,
সেদিন থেকে আমি হয়ে গেলাম অফিশিয়াল।
কঠোরভাবে মেনে চলতে হয় অফিস ম্যানুয়েল,
সাজগোজটাও রাখতে হয় ছিমছাম আর ফরম্যাল।
সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা,
হঠাৎ যেন বদলে গেলো জীবনের ধাঁচটা।
কথাবার্তার বেলায় সামলাতে হয় নিজের জিভ,
ক্যাজুয়াল মানে ড্রেস নয় ক্যাজুয়াল লিভ।
ছাত্রাবস্থায় যার অনুমতি ছিল একদম নয়,
কর্মক্ষেত্রে সেই চায়ের সঙ্গে হলো পরিচয়।
মাসের শেষে যখন অ্যাকাউন্টে ঢুকলো বেতন,
ঝকঝকে নতুন নোটের গন্ধে হলাম অচেতন।
একবছর পেরোতেই যখন হল প্রথম ইনক্রিমেন্ট,
বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি-সারলাম এনগেজমেন্ট।
উপরি পাওনা ভেবে যেদিন পেলাম ডিএ,
ব্যাচেলর ডিগ্রিটা বিসর্জন দিয়ে করলাম বিয়ে।
সেদিন থেকে টের পাচ্ছি সংসারের ধকল,
কখনো ব্যাংক লোন কখনো জিপিএফ উইথড্রল।
টাইপরাইটার ছেড়ে দিয়ে কম্পিউটারে করছি টাইপ,
এই পদোন্নতি নিয়েই কাটছে সার্ভিস লাইফ।