আমি যে এক কপালপোড়া কলমচি,
সহি সমালোচকের চিমটি ও খামচি।  
কবিতা রচিবার করি শত সহস্র যতন,
ভাব বিহ্বলতায় হইয়া যায় ছন্দপতন।
আমি আবার কাগজ কলমের সিপাহী,
এ অধমের নাম কাব্যদাস পাণিগ্রাহী।
ঊষাকালের ভুসাকালি মাখা আসমান,
তাহার গর্ভে কেন মেঘপুঞ্জ ভাসমান?  
প্রকৃতি আজি ঘুরাইয়াছে ঋতুর চরখা,
কেন শিউলির সুবাস হরিতেছে বরখা?  
কাশবনে দন্ডায়মান হে শারদবালিকা,
তুমি যেন মম কাব্যনদীর অববাহিকা।
তব আলুলায়িত কেশ সৌন্দর্য্যের তরে,
মোর কাব্যরস পানপাত্র উপচাইয়া পড়ে।
তব প্রেমে কভু আমি সুন্দরবনের ব-দ্বীপ,
আবার কভু হইয়া যাই উত্তমাশা অন্তরীপ।  
তুমি আসিলে এই জীবন উৎসবে বর্ণাঢ্য,
আবার চলিয়া গেলে বিরহে স্থিতি জাড্য।
তোমায় দেখিলে জাহির করি জিজীবিষা,
আর হারাইলে জাগিয়া উঠে অনুসন্ধিৎসা।
কুয়াশার ওড়নায় যবে ঢাকিবে তব লজ্জা,  
শিশিরসিক্ত তৃণাসনে হইবে মম ফুলশয্যা।
শালীনতার প্রশ্নে বিদ্ধ তব ফর্সা নাভিপদ্ম,  
মোর বাকশক্তিহীন মুখে সৃষ্টি করে গদ্য।