তার বিশাল নামডাক ছিলো, ছিলো কদর;
বাড়ি পশ্চিম নোয়াবাদী নাম শিবু শব্দকর।
বিবাহ কিংবা অন্নপ্রাশনে সে বাজাতো বাজনা,
গাঁজা খেলে তার মুখে থাকতোনা খাজনা।
আরেকটা পরিচয় আছে তার দিতে বাকি,
পূজাপার্বণে সে হয়ে উঠতো শিবু ঢাকি।
যখন দুর্গাপূজায় সে বাজাতো তার ঢাক,
ছোট থেকে বড় সবাই হতো অবাক।
নিজের পিঠে সে বিশাল ঢাকখানা ঝুলিয়ে,
ধুনুচি নাচের তালে নাচতো কোমর দুলিয়ে।
কাঠি দিয়ে ঢাকে দিতো জাদুর চোট,
বিনিময়ে সে পেতো সেফটিপিন লাগানো নোট।
অমাবস্যা রাতে যখন চারিদিকে ঘন অন্ধকার,
তার ঢাকে ঘট বসানো হতো কালীপূজার।
দা-কোদাল নিয়ে ধারণ করে শ্রমিকের সাজ,
বাকি সময় করতো সে দিনমজুরের কাজ।
এত পরিশ্রম করে যে টাকা মিলতো,
মদের আসরে বসে বাংলা মদ গিলতো।
যে মেয়েকে ভালোবেসে সে বউ বানিয়েছে,
সে পরপুরুষের হাত ধরে গতবছর পালিয়েছে।
একদিন হঠাৎ করে এই খবরটা পাই,
সেই শিবু ঢাকি নাকি আর নাই!
মনসা পূজার মূর্তি বিসর্জন দিতে গিয়ে,
সে হাওড়া নদীর জলে গিয়েছে তলিয়ে।
সকলের চোখে দিয়ে চিরকালের মত ফাঁকি,
না ফেরার দেশে গেছে শিবু ঢাকি।